ফাইল চিত্র।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাদাখ থেকে শুরু করে দক্ষিণ চিন সাগর। চিনা (China) আগ্রাসনের নগ্ন রূপ দেখেছে বিশ্ব। কিন্তু তারপরই রাষ্ট্রসংঘে ‘শান্তির বার্তা’ দিয়ে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বক্তব্য, ‘একাধিপত্য স্থাপন করতে চায় না চিন’।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ভাষণের পরই মঙ্গলবার রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার ৭৬তম অধিবেশনে ভারচুয়ালি বক্তব্য রাখেন জিনপিং। বাইডেনের ‘ঠান্ডা লড়াই চাই না’ মন্তব্যের প্রেক্ষিতে চিনা প্রেসিডেন্ট শান্তি, উন্নয়ন, সাম্য, ন্যায়, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার মতো মূল্যবোধের পক্ষে সওয়াল করেন। তিনি বলেন, “দেশগুলির মধ্যে থাকা বিবাদ আলোচনা ও পারস্পরিক সম্মানের সঙ্গে সমাধান করা উচিত। একটি দেশের সাফল্যের অর্থ এই নয় যে অন্য দেশ বিফল। সাধারণভাবে সকলের উন্নয়নের জন্য এই বিশ্বে যথেষ্ট জায়গা রয়েছে।”
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার ৭৬তম অধিবেশনে মার্কিন কুটনীতিতে এক নয়া দিগন্তের ইঙ্গিত দেন বাইডেন (Joe Biden)। মিত্রদেশগুলিকে আশ্বস্ত করার পাশাপাশি, বিদেশনীতির ক্ষেত্রে ‘আমেরিকা প্রথম’ এজেন্ডা থেকে বেরিয়ে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। চিনের সঙ্গে সমঝোতার ইঙ্গিত দিয়ে ‘ঠান্ডা লড়াই চায় না আমেরিকা’ বলে সাফ জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে, করোনা মহামারী, জলবায়ু পরিবর্তন ও সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিশ্বকে আমেরিকা নেতৃত্ব দেবে। তবে তা সামরিকভাবে নয়। তারপরই শান্তির বার্তা দেন জিনপিং।
বিশ্লেষকদের মতে, মুখে জিনপিং যাই বলুন না কেন, আদতে আগ্রাসী পথ থেকে সরবে না চিন। দক্ষিণ চিন সাগরের গোটাটাই কার্যত নিজেদের বলে দাবি করে এসেছে কমিউনিস্ট দেশটি। একইসঙ্গে গালওয়ানে চিনা আগ্রাসনের ছবি দেখেছে গোটা বিশ্ব। হংকংয়ে চিনা দমননীতি ও তাইওয়ান নিয়ে বেজিংয়ের হুঙ্কারও বন্ধ হবে না। তবে আন্তর্জাতিক মঞ্চে আপাতত নিজেদের ছবি কিছুটা উন্নত করার চেষ্টা করছে দেশটি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.