Advertisement
Advertisement

Breaking News

Corona

করোনা নিয়ে ড্যামেজ কন্ট্রোল! বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তদন্তকারী দলকে স্বাগত জানাল বেজিং

ইউহান শহরে প্রথম করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়।

China welcomes WHO team to investigate corona virus origin | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:December 17, 2020 12:35 pm
  • Updated:December 17, 2020 12:35 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে মাথা নোয়াল করোনা ভাইরাসের ‘উৎসস্থল’ চিন (China)। আগামী জানুয়ারি মাসে এই মারণ জীবাণুর উৎস সন্ধানে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের একটি দলকে স্বাগত জানিয়েছে বেজিং। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)।

[আরও পড়ুন: দিশেহারা ইমরান! দেশ চলেছে ভুল পথে, মনে করছেন ৭৭ শতাংশ পাকিস্তানি]

একটি সাংবাদিক সম্মেলনে WHO-এর ওয়েস্টার্ন প্যাসিফিক রিজিয়নের ইমার্জেন্সিস ডিরেক্টর বাবাটুনডে ওলঅকুরে জানান, তদন্তকারী দলটির সফর নিয়ে চিনের সঙ্গে আলোচনা চলছে। সে দেশে করোনা ভাইরাসের উৎসের সন্ধানে কোন কোন জায়গায় সফর করবেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা মূলত সেই বিষয়েই আলোচনা হচ্ছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ওলঅকুরে আরও বলেন, “আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত তদন্তকারী দলটিকে চিন স্বাগত জানিয়েছে বলেই আমরা জানি। যতদূর মনে হয় আগামী জানুয়ারি মাসে বিশেষজ্ঞরা চিনের উদ্দেশে রওনা দেবেন।” গতকালই WHO-এর এক আধিকারিক এই সফরের কথা জানিয়েছিলেন। এদিন সেই খবরে সিলমোহর দিলেন ওলঅকুরে।

Advertisement

উল্লেখ্য, আমেরিকা-সহ একাধিক দেশ করোনা মহামারীর জন্য চিনকে দায়ী করে আসছে। আর সেই অভিযোগ যে মিথ্যা নয়, তা প্রমাণ হয়েছে একাধিক গোপন নথি ফাঁস হওয়ায়। কয়েকদিন আগে চিনে করোনা মহামারী নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে CNN। সেখানে স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীদের রিপোর্টের ভিত্তিতে দাবি করা হয় যে, প্রথমদিকে করোনা সংক্রমণের কথা গোপন রেখেছিল হুবেই প্রশাসন। স্থানীয় চিকিৎসকদের মতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের ১০ তারিখ পর্যন্ত হুবেইয়ে সংক্রমণের সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ৯১৮। কিন্তু সরকারি পরিসংখ্যানে এর অর্ধেক দেখানো হয়েছিল। ফলে, কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাসটি। বলে রাখা ভাল, ২০১৯ সালের নভেম্বরে চিনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী ইউহান শহরে প্রথম করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়। ‘Hubei Provincial Centre for Disease Control and Prevention’-এর এক কর্মীর কাছ থেকে ১১৭ পাতার একটি গোপন রিপোর্ট সংগ্রহ করে CNN। তারপর অন্তত ছ’জন স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞদের দিয়ে সেই নথি খতিয়ে দেখে সেগুলির সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে বলে দাবি সংস্থাটির।

[আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁদ পেতে ৯টি খুন! ‘টুইটার কিলার’কে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনাল আদালত]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement