Advertisement
Advertisement

Breaking News

বাজল যুদ্ধের দামামা! ১০ হাজার মার্কিন সেনাকে হত্যার হুমকি চিনের

লালফৌজের নিশানায় দুই মার্কিন বিমানবাহী রণতরী।

China warns US again
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:January 2, 2019 4:52 pm
  • Updated:January 2, 2019 4:52 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের আমেরিকার বিরুদ্ধে বিষোদ্গার চিনের। এবার লালফৌজের নিশানায় আমেরিকার দু’টি বিমানবাহী রণতরী। যুদ্ধের সম্ভাবনা প্রবল করে আমেরিকার ১০ হাজার সেনার হত্যার হুমকি দিলেন চিনা নৌসেনার শীর্ষ আধিকারিক।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, চিন-আমেরিকা সম্পর্ক নিয়ে একটি সেমিনারে বক্তব্য রাখেন রিয়ার অ্যাডমিরাল লু ইউয়ান। বর্তমানে ‘চাইনিজ অ্যাকাডেমি অফ মিলিটারি সায়েন্সেস’-এর এক শীর্ষ পদও সামলাচ্ছেন তিনি। দক্ষিণ-চিন সাগরে মার্কিন হস্তক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, কোনও রাখঢাক না করেই তিনি বলেন, “দক্ষিণ-চিন সাগরে আমেরিকার দু’টি বিমানবাহী রণতরী ধবংস করতে সক্ষম আমরা। ওই জাহাজ দু’টি মিলিয়ে প্রায় ১০ হাজার মার্কিন সেনাকে খতম করলেই সমস্ত সমস্যা মিটে যাবে।” অ্যাডমিরাল লু আরও বলেন, “আমেরিকা সব থেকে বেশি ভয় করে নিজের সৈনিকদের মৃত্যু। এই ভীতিই আমাদের প্রধান হাতিয়ার। শত্রুর সবচেয়ে দুর্বল জায়গায় আঘাত হানাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।” আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, পরোক্ষে প্রেসিডেন্ট জিনপিংয়ের হয়েই আমেরিকাকে হুমকি দিয়েছেন অ্যাডমিরাল লু। সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার ও আফগানিস্তানে ওয়াশিংটনের মোহভঙ্গে মওকা দেখতে পেয়েছে কমিউনিস্ট দেশটি। এই পরিস্থিতি কাজে লাগিয়ে দক্ষিণ-চিন সাগরে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে চিন।                                          

Advertisement

দক্ষিণ-চিন সাগর নিয়ে ঠান্ডা লড়াই চলছে ওয়াশিংটন ও বেজিংয়ের মধ্যে। বিতর্কিত জলরাশির প্রায় সমস্তটাই তাদের বলে দাবি করে চিন। এখানেই শেষ নয়, একই এলাকায় নিজেদের অধিকার সাব্যস্ত করার চেষ্টা করছে তাইওয়ান, ভিয়েতনাম, ফিলিপিন্স, মালয়েশিয়া ও ব্রুনেই। এদিকে আমেরিকার বয়ান, আন্তর্জাতিক জলসীমায় আগ্রাসন মেনে নেওয়া হবে না। তাই দক্ষিণ-চিন সাগরে ‘মুক্ত বিচরণের’ অধিকার বজায় রাখতে সেখানে ক্রমাগত টহল দিচ্ছে মার্কিন রণতরী। পাশাপাশি জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে যৌথ মহড়ায় লালফৌজকে টেক্কা দেওয়ার প্রস্তুতি চালাচ্ছে ওয়াশিংটন। বিশেষজ্ঞদের মতে মার্কিন হুমকিতে মোটেও বিচলিত নয় বেজিং। পালটা প্রস্তুতি নিয়েছে তারাও। দক্ষিণ-চিন সাগরে একের পর এক কৃত্রিম দ্বীপ বানিয়েছে জিনপিং প্রশাসন। বাণিজ্যের আড়ালে দ্বীপগুলিতে মোতায়েন করা হয়েছে ব্যালিস্টিক মিসাইল, আন্টি-এয়ারক্রাফট সিস্টেম ও জঙ্গিবিমান।   

                               [‘অন্য পথ বেছে নিতে হবে’, আমেরিকাকে প্রচ্ছন্ন হুমকি কিমের]                                                    

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement