সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিনজিয়াং প্রদেশে যেভাবে উইঘুরদের উপর অত্যাচার চালিয়ে তাঁদের ধর্মীয় সংস্কৃতিকে নির্মূল করার চক্রান্ত করছে চিন। ঠিক একই কাজ তারা করছে তিব্বতের বাসিন্দাদের সঙ্গেও। অভিযোগ, সেখানে বসবাসকারী বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মন থেকে ধর্মীয় চিন্তাধারাকে সরিয়ে তাঁদের ভোগবাদে নিমজ্জিত করতে চাইছে শি জিনপিংয়ের প্রশাসন। বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ তৈরি হলেও চিনের শাসকদলের ভয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাইছে না কেউ।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে তিব্বত (Tibet) -এর সাধারণ মানুষের উপর চিনের সরকার অকথ্য অত্যাচারের কাহিনী নতুনভাবে সামনে আসে। তা থেকে জানা যায়, ১৯৫১ সালে তিব্বত দখল করে চিন। আর ১৯৫৯ সালে বৌদ্ধধর্মাবলম্বী মানুষদের নির্বিচারে হত্যা করে বুদ্ধের মতবাদ ও সংস্কৃতিকে উৎখাতের পরিকল্পনা নেয়। যা আজ সমানভাবে চালিয়ে যাচ্ছে তারা। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অত্যাচারের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে বিলাসবহুল জীবনের লোভ দেখিয়ে ধর্মের পথ থেকে অন্যদিকে সরানোর চেষ্টা করছে। এর জন্য লাসা-সহ তিব্বতের বিভিন্ন জায়গায় প্রচুর টাকা বিনিয়োগও করছে তারা। এমনকী তিব্বতি ভাষার পরিবর্তে চিনের মান্ডারিন ভাষায় বৌদ্ধ ধর্মের পাঠ পড়ানো হচ্ছে।
এপ্রসঙ্গে তিব্বতের রাজধানী লাসা (Lhasa)’র এক বাসিন্দা জানান, ৪১ বছরের জীবনে তিব্বতের বিভিন্ন এলাকার এত উন্নয়ন তিনি আগে কখনও দেখেননি। তাঁর জীবনও যেত এত সুন্দর হতে পারে তা ভাবেননি। পুরো বিষয়টি বাস্তবায়িত হয়েছে চিনের শাসকদলের সৌজন্যে। তাদের জন্যই ওই ব্যক্তি তাঁর দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে সুখে ঘর করতে পারছেন। বৌদ্ধধর্মাবলম্বী হলেও দলাই লামার পরিবর্তে তিনি কেন চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের ছবি নিজের ঘরে টাঙিয়ে রেখেছেন? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে ওই ব্যক্তি বলেন, ‘আমি তাঁর সঙ্গে কখনও দেখাও করিনি আর তাঁর বিষয়ে বিশেষ কিছু জানিও না। কিন্তু, শি জিনপিংয়ের জন্য আমাদের জীবন বদলে গিয়েছে তাই তাঁর ছবি বাড়িতে রেখেছি।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.