সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পূর্ব লাদাখে ভারতীয় সৈনিকদের পুড়িয়ে মারতে গোপন ‘মাইক্রোওয়েভ” হাতিয়ার ব্যবহার করেছিল চিন (China)। ব্রিটিশ দৈনিক ‘The Times’ সূত্রে খবর, গত আগস্ট মাসে গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের পর এই ভয়ানক হাতিয়ার মোতায়েন করেছিল লালফৌজ।
Media articles on employment of microwave weapons in Eastern Ladakh are baseless. The news is FAKE. pic.twitter.com/Lf5AGuiCW0
— ADG PI – INDIAN ARMY (@adgpi) November 17, 2020
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ভারতীয় জওয়ানদের বিরুদ্ধে লালফৌজের মাইক্রোওয়েভ’ পাল্স হাতিয়ার ব্যবহার করার বিষয়ে বেজিংয়ে নিজের ছাত্রদের কাছে দাবি করেছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ জিন কানরং। ছাত্রদের তিনি বলেন, “ভারতীয় সৈনিকদের বিরুদ্ধে অত্যন্ত নিপুণভাবে হাতিয়ারটি ব্যবহার করেছে চিনা বাহিনী। এই হাতিয়ারটি থেকে বের হওয়া মাইক্রোওয়েভ’ তরঙ্গ ভারতীয়দের দখলে থাক পাহাড়ের চূড়াগুলিকে মাইক্রোওয়েভ’ ওভেনের মত গরম করে তুলেছিল। ফলে বমি করতে করতে ও শরীরের চামড়া পুড়ে যাওয়ায় সেখান থেকে পালিয়ে যায় ভারতীয় সৈনিকরা। এভাবে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ভঙ্গ না করে বন্দুকের ব্যবহার ছাড়াই আমরা এলাকাগুলি দখল করেছি।”
অস্ত্র বিশেষজ্ঞদের মতে, চিনের মাইক্রোওয়েব হাতিয়ারের মতো অস্ত্র আমেরিকার কাছেও রয়েছে। মার্কিন ফৌজের হাতে থাকা অস্ত্রটির নাম ‘Active Denial System’। একবার আফগানিস্তানে মোতায়েন করলেও তা কখনও ব্যবহার করেনি আমেরিকার সেনা। ফলে, যদি দাবি সত্যি হয়, তাহলে লড়াইয়ের ময়দানে এই হাতিয়ারের ব্যবহার প্রথম করল চিন। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই ধরনের অস্ত্রগুলি থেকে মাইক্রোওয়েভ’ তরঙ্গ বের হয়। প্রায় ০.৬ মাইল পর্যন্ত আঘাত হানতে সক্ষম এই অস্ত্রগুলি প্রচণ্ড তাপ সৃষ্টি করে। এর ফলে মানবদেহের কোষে থাকা জল বাষ্প হয়ে যায়। সহজ যাওয়ায়, শরীরকে ভেতর থেকে পুড়িয়ে দেয় এই হাতিয়ার। তবে চিনের এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় ফৌজ। এই ধরনের প্রচার লালফৌজের ‘মাইন্ড গেম’ বলেই মনে করছেন অনেকে।
উল্লেখ্য, সীমান্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এপর্যন্ত ৮ দফা সামরিক বৈঠক হয়ে গিয়েছে চিন (China) ও ভারতের মধ্যে। নভেম্বরের ৬ তারিখ চুশুল বর্ডার পয়েন্টে অষ্টম দফার কোর কমান্ডার স্তরের বৈঠক হয় ভারত ও চিনের সেনাবাহিনীর মধ্যে। ওই বৈঠকে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ছিলেন বিদেশমন্ত্রকের যুগ্মসচিব নবীন শ্রীবাস্তব ও ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশনস-এর ব্রিগেডিয়ার ঘাই। ওই বৈঠকের পর সরকার দাবি করে, বৈঠকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে দুই পক্ষের মধ্যে গঠনমূলক ও গভীর আলোচনা হয়েছে। সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা ও যোগাযোগ বজায় রাখতে রাজি হয়েছে দুই দেশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.