সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কবাণে ঘায়েল হয়েছে ভারত। তথাপি শুল্কযুদ্ধ সবচেয়ে বড় আকারে জমে উঠেছে আমেরিকা ও চিনের মধ্যে। একে অপরের দিকে শুল্কের মিশাইল ছুড়েই চলেছে দুই শক্তিধর রাষ্ট্র। এই অবস্থায় রবিবার পালটা ট্রাম্প প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দিল শি জিনপিং প্রশাসন। তারা জানিয়ে দিল, বর্তমান সংঘাত থামাতে হলে দু’একটি পণ্যে নয়, চিনের উপর চাপানো বাড়তি শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করতে হবে। এখনও পর্যন্ত জবাব আসেনি ওয়াশিংটনের তরফে।
ভারত, কানাডা, চিন-সহ একাধিক দেশের উপর ২ এপ্রিল থেকে ব্যাপক হারে শুল্ক চাপিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। ভারতের উপর ২৬ শতাংশ কর চাপালেও বাড়তে বাড়তি চিনের উপর পারস্পারিক কর ১৪৫ শতাংশে পৌঁছেছে। এরপর শনিবার মোবাইল, কম্পিউটার, বৈদ্যুতিন চিপস-সহ বেশ কিছু পণ্যে করছাড় দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। এই সিদ্ধান্তের জেরে কার্যত খাদের কিনারে চলে যাওয়া চিন কিছুটা হলেও উপকৃত হবে বলে মনে করছিল ওয়াকিবহাল মহল। তখনই মুখ খুলল চিনের বাণিজ্য মন্ত্রক। তারা জানিয়ে দিল, দু’একটি পণ্যে নয়, আমেরিকার উচিত তাদের নতুন শুল্কনীতি থেকে পুরোপুরি সরে আসা। বাড়তি শুল্ক ‘সম্পূর্ণরূপে বাতিল’ করার আহ্বান জানানো হয় বেজিংয়ের তরফে। আমেরিকার বিরুদ্ধে শুল্কযুদ্ধে চিন যে পিছু হটবে না, সেই বার্তাও দিয়েছে চিনের বিদেশ মন্ত্রক। সব মিলিয়ে চিন-আমেরিকা শুল্ক সংঘাত বাড়ন্ত।
প্রসঙ্গত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কযুদ্ধের জেরে নাভিশ্বাস উঠেছে গোটা বিশ্বের। যদিও শেষবেলায় হোয়াইট হাউসের সিদ্ধান্তে কিছুটা স্বস্তি মিললেও ঘাড়ের উপর খাঁড়া এখনও সরাননি ট্রাম্প। পারস্পরিক শুল্কের উপর ৯০ দিনের স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে বিশ্বের বাকি দেশগুলির জন্য। যদিও রেহাই মেলেনি চিনের। ড্রাগনের দেশের উপর ১৪৫ শতাংশ শুল্কের বোঝা চাপিয়েই রেখেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এর ফলে বিপাকে পড়েছে বৈদ্যুতিন পণ্যে প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি। বিশ্বের ম্যানুফেকচারিং হাব হিসেবে পরিচিত চিন। অ্যাপেল-সহ বহু মার্কিন সংস্থা এখানেই তৈরি করে মোবাইল-সহ অন্যান্য বৈদ্যুতিন পণ্য। মার্কিন সিদ্ধান্তের জেরে বিরাট সমস্যায় পড়েছে এই সংস্থাগুলি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.