সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর মাত্র কয়েক বছরের অপেক্ষা। অর্থনীতির নিরিখে আমেরিকাকে ছাড়িয়ে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে চিন (China)। নিজেদের বার্ষিক রিপোর্টে সম্প্রতি এমনটাই দাবি করেছে ‘সেন্টার ফর ইকোনোমিক্স এণ্ড বিজনেস রিসার্চ’ (CEBR)।
শনিবার প্রকাশিত CEBR-এর বার্ষিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, “করোনা মহামারীর জেরে বিশ্ব অর্থনীতিতে পতন ঘটলেও তা চিনের স্বপক্ষে কাজ করেছে। এই মহামারীর ফলে প্রতিযোগিতায় চিন সুবিধাজনক অবস্থানে পৌঁছে গিয়েছে। মহামারী পরিস্থিতির সুকৌশলে মোকাবিলা করেছে চিন।” ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ২০২১ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত বার্ষিক ৫.৭ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে চিনের অর্থনীতি। তবে ২০২৬ থেকে ২০৩০ পর্যন্ত তা খানিকটা কমে দাঁড়াবে ৪.৫ শতাংশে। এর বিপরীতে, করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে দ্রুত ঘুরে দাঁড়ালেও চিনের সঙ্গে টেক্কা দিতে পারবে না আমেরিকা। ২০২২ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত মার্কিন অর্থনীতি বৃদ্ধি পাবে বার্ষিক ১.৯ শতাংশ। তারপর সেই বৃদ্ধির হার কমে দাঁড়াবে ১.৬ শতাংশ। অর্থাৎ এখানে অর্থনীতির নিরিখে ওয়াশিংটনের চাইতে অনেকটাই এগিয়ে থাকবে বেজিং। এদিকে, ২০৩০ সালের শুরু পর্যন্ত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির স্থান ধরে রাখবে জাপান। তবে ওই বছরের শেষের দিকে দেশটিকে পিছনে ফেলে সেই স্থান দখল করবে ভারত।
উল্লেখ্য, মার্কিন মসনদে ডোনাল্ড ট্রাম্প বসার পর থেকেই চিনের সঙ্গে শুল্ক লড়াইয়ে মেতে উঠেছে আমেরিকা। বিদায়বেলায়ও বেজিংকে করোনা-সহ একাধিক ইস্যুতে তুলোধোনা করছেন ট্রাম্প। মার্কিন পণ্যে শুল্ক বাড়িয়ে পালটা মার দিয়েছে চিনও। এছাড়া, সামরিক দিক থেকে দক্ষিণ চিন সাগর, তাইওয়ান-সহ বেশ কিছু ইস্যুতে সিংহাতের পথেই হাঁটছে বেজিং ও ওয়াশিংটন। এশিয়া মহাদেশ ও বিশ্বে মার্কিন একাধিপত্যকে ক্রমেই চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে চিন৷ এর জন্য গোপনে বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ বানাচ্ছে চিনা নৌবাহিনী, যা আয়তনে আড়াই খানা ফুটবল মাঠের সমান। এটিই হবে চিনের বৃহত্তম এবং তৃতীয় এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ার বা বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ। জাপান, ভারত ও আমেরিকার সামরিক জোটকে টেক্কা দিতে ও সমুদ্রে একাধিপত্য বজায় রাখতে এই সুবিশাল নয়া রণতরী তৈরি করছে পিপলস লিবারেশন আর্মি। সব মিলিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা কর্মেই বাড়ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.