সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারিকে কার্যত বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে এবার বিতর্কিত দক্ষিণ চিন সাগরে জলের তলায় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র গড়তে চলেছে চিন৷ সূত্রের খবর, এই কেন্দ্রটি থেকে ওই এলাকায় মজুত খনিজসম্পদ আহরণের উপর গবেষণা ও মার্কিন নৌবাহিনীর উপর নজরদারি চালাবে চিন৷ যদিও বেজিংয়ের দাবি , সমুদ্রের তলায় ঘটা প্রাকৃতিক পরিবর্তনের উপর নজর রাখাই কেন্দ্রটির মূল উদ্দেশ্য৷
‘চাইনিজ একাডেমি অফ সায়েন্সের’-এর এক গবেষক জানিয়েছেন যে, সাংহাই-র তংজি বিশ্ববিদ্যালয় ও ‘ইনস্টিটিউট অফ একোস্টিক’-এর সাহায্যে ওই পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রটি গড়ে তোলা হবে৷ যদিও কেন্দ্রটির ঠিক কোথায় গড়ে তোলা হবে তা জানাননি তিনি৷
দক্ষিণ চিন সাগরে সীমানা নিয়ে চিনের সঙ্গে বিবাদ রয়েছে ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, তাইওয়ান ও জাপান-সহ আরও বেশ কয়েকটি দেশের৷ প্রায় সমস্ত দক্ষিণ চিন সাগর নিজের বলে দাবি জানিয়ে আসছে চিন৷ শুধু তাই নয়, বিতর্কিত স্পার্টলি ও পারাসেল দ্বীপগুলিকে সামরিক ঘাঁটিতে পরিণত করছে বেজিং। এছাড়াও, কয়েকদিন আগেই বিতর্কিত জলরাশিতে ভাসমান পারমাণবিক কেন্দ্র বানানোর কথা ঘোষনা করে কমিউনিস্ট দেশটি৷ বিশাল অর্থনীতি ও দ্রুত বাড়তে থাকা জ্বালানির চাহিদা মেটাতে অত্যন্ত পারমাণবিক কেন্দ্র নির্মানের মূল উদ্দেশ্য বলে দাবি করেছে চিন৷ তবে সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতে পরমাণু অস্ত্র নির্মাণে ব্যবহার হতে পারে ওই কেন্দ্রগুলি৷
এবার জলের নিচে পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তুলে, ওই এলাকায় আমেরিকা, ভারত ও জাপানের নৌবাহিনীর গতিবিধির উপর নজর রাখবে চিন, বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.