সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে পরিস্থিতি। বিতর্কিত স্পার্টলি ও পারাসেল দ্বীপগুলিকে সামরিক ঘাঁটিতে পরিণত করছে বেজিং। শুধু তাই নয়, প্রায় পুরো দক্ষিণ চিন সাগরটাই নিজের বলে দাবি করছে কমিউনিস্ট রাষ্ট্রটি। এ নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ফিলিপিন্স, তাইওয়ান ও ব্রুনেই-এর মত দেশগুলি। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যে চিনকে চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে কিছুতেই দমছে না ওই দেশ। এবার বিতর্কিত জলরাশিতে ভাসমান পারমাণবিক কেন্দ্র বানানোর কথা ঘোষণা করে চলে আসা বিবাদকে এক নতুন মাত্রায় পৌঁছে দিল চিন।
দ্রুতই অন্তত ২০টি ভাসমান পারমাণবিক শক্তি কেন্দ্র তৈরি করে ফেলতে চলেছে বেজিং, জানিয়েছে সে দেশের সরকারি পারমাণবিক সংস্থা। ওই কেন্দ্রগুলি থেকে বিতর্কিত দ্বীপগুলিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। মাঝ সমুদ্রে পারমাণবিক কেন্দ্র তৈরি করলে সুনামির সময় বড়সড় দুর্ঘটনা হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হবে। তবে এই আশঙ্কাকে নস্যাৎ করে চিনের দাবি, সম্পূর্ণ সুরক্ষিত হবে ওই ভাসমান পারমাণবিক কেন্দ্রগুলি। প্রসঙ্গত, সুনামিতে জাপানের ফুকুশিমা দাইচি পরমাণু কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ছড়িয়ে পড়েছিল অত্যন্ত মারাত্মক তেজস্ক্রিয়তা।
বিশাল অর্থনীতি ও দ্রুত বাড়তে থাকা জ্বালানির চাহিদা মেটাতে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে পারমাণবিক কেন্দ্র নির্মাণ করে চলেছে চিন। ২০২০ সালের মধ্যে চিন প্রায় ৫৮ মিলিয়ন কিলোওয়াট পারমাণবিক বিদ্যুত তৈরির ক্ষমতা অর্জন করে ফেলবে। তবে বিতর্কিত জলরাশিতে এই নির্মাণ যে দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে সংঘাতে ইন্ধন যোগাবে তা বলাই বাহুল্য।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.