সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাইওয়ানের সঙ্গে ভারতের ব্যবসায়িক সম্পর্ক বৃদ্ধির বিষয়ে প্রথম থেকে আপত্তি জানিয়েছে চিন (China) । এই বিষয়ে বারবার নয়াদিল্লিকে ‘এক চিন নীতি’ মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে বেজিং। যদিও তাতে গুরুত্ব না দিয়ে নিজের কাজ করছে ভারত। আর এতেই ক্ষেপে উঠেছে শি জিনপিংয়ের প্রশাসন। নয়াদিল্লি যদি তাইওয়ানের সঙ্গে ব্যবসায়িক লেনদেন স্থগিত না করে তাহলে ভারতের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত রাজ্যগুলিতে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাহায্য করার পরিকল্পনা নিয়েছে তারা। এবিষয়ে প্রকাশ্যে হুঁশিয়ারিও দিচ্ছে।
সম্প্রতি এবিষয়ে চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসে একটি প্রতিবেদন লিখেছেন সেদেশের একটি কূটনীতিবিদ। তাতে পরিষ্কার উল্লেখ করা হয়েছে, ভারত যদি তাইওয়ানের ক্ষেত্রে তাদের মনোভাব না বদলায় তাহলে উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন রাজ্যগুলিতে থাকা বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলিকে সাহায্য করা হবে। ভারত যেভাবে তাইওয়ানকে মদত দিয়ে ‘এক চিন নীতি’কে হেয় করার চেষ্টা করছে তার উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।
এপ্রসঙ্গে বেজিং ফরেন স্টাডিজ ইউনিভার্সিটি একজন গবেষক লং শিংচুন (Long Xingchun) বলেন, ‘তাইওয়ান ও ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিগুলি একই ক্যাটাগরির। যদি ভারত তাইওয়ান কার্ড খেলে তাহলে তাদেরও এটা জেনে রাখা উচিত যে চিনও ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিগুলিতে মদত দিতে পারে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে বারবার অভিযান চালানোর ফলে উত্তর-পূর্ব ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিগুলির ক্ষমতা আগের থেকে অনেক কমেছে। কিন্তু, তাদের পুরোপুরি নির্মূল করা যায়নি। তবে বাইরে থেকে সাহায্য না পাওয়ার ফলে তারা নিজেদের শক্তিও বাড়াতে পারেনি। কিন্তু, যদি সমর্থন দেওয়া হয় তাহলে খুব তাড়াতাড়ি তারা নিজেদের পুরনো রূপ ফিরে পাবে। তাতে সমস্যা আরও বাড়বে। এতদিন ভারতের ওই বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিগুলি চিনের মদত চাইলেও তাদের কথায় কান দেওয়া হয়নি। কিন্তু, ভারত যদি তাইওয়ানের ক্ষেত্রে নিজেদের অবস্থান না বদলায় তাহলে চিনকে বাধ্য হয়ে অন্য পথ ধরতে হবে।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.