চিনা ছলনায় ভুলছে না ভারত।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের বর্মে দাঁত ফোঁটাতে না পেরে রীতিমতো বেকায়দায় ‘ড্রাগন‘। ফলে পেশীশক্তির বদলে আলোচনার টেবিলকেই শ্রেয় মনে করছে চিন। ডোকলাম নিয়ে ইতিমধ্যে মুখ পুড়েছে কমিউনিস্ট দেশটির। এবার ‘চিন পাকিস্তান ইকোনমিক করিডর’(CPEC) নিয়েও দিল্লির সামনে কার্যত মাথা নত করেছে বেজিং।
[জানেন ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ বাধলে কেন নাস্তানাবুদ হবে চিন ?]
ভারতের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই মিটবে সিপিইসি সমস্যা। সোমবার এমনটাই জানায় চিন। ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ মেগা প্রজেক্টের আওতায় পাকিস্তান ও চিনকে স্থলপথে জুড়তে সিপিইসি প্রকল্প শুরু করে বেজিং। ওই সড়কের একটি অংশ পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্যে দিয়ে যাওয়ায় প্রবল আপত্তি জানিয়েছে ভারত। সার্বভৌমত্বে আঘাত হেনেছে বেজিং বলেও অভিযোগ দিল্লির। এনিয়ে প্রবল টানাপোড়েন চলছে পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশের মধ্যে। উল্লেখ্য, সিপিইসি নিয়ে সদ্য বেজিংকে কড়া বার্তা দিয়েছেন সেখানে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত গৌতম বামবাওয়ালে। তিনি বলেন, সিপিইসি নিয়ে ভারতের সমস্যায় চিন যেন চোখ বন্ধ করে না থাকে। প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিতে তিনি জানিয়ে দিলেন চিনের বাড়াবাড়ি সহ্য করবে না ভারত। তারপরই চিনা বিদেশমন্ত্রকের তরফে উঠে আসে আলোচনার প্রসঙ্গ। চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র হো চুনইং বলেন, সিপিইসি সংক্রান্ত আপত্তি নিয়ে নয়াদিল্লির সঙ্গে আলোচনার পক্ষেই বেজিং। ভারত চাইলে এই বিষয়ে বার্তালাপ হতে পারে। তাঁর সংযোজন, উভয়পক্ষকে আলোচনার মাধ্যমে বিবাদ মেটাতে হবে। সিপিইসি একটি অর্থনৈতিক প্রকল্প মাত্র। এর মাধ্যমে কাউকে নিশানা বানানো হচ্ছে না।
[ কাশ্মীর ইস্যুতে লন্ডনে পাকপন্থীদের তাণ্ডব, পালটা মার ভারতীয় সমর্থকদের ]
চিনের দু’মুখো নীতির সঙ্গে ভারত ভালভাবেই পরিচিত। তাই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আপাতত পিছু হটলেও ফের থাবা বসাতে পারে ড্রাগন। পাকিস্তানের সঙ্গে জোট বেঁধে ভারতকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টায় খামতি রাখছে না চিন। পাক জঙ্গিদের পরোক্ষে মদত দিচ্ছে বেজিং। উল্লেখ্য সিপিইসি-র ক্ষতি করার সবরকমভাবে চেষ্টা করছে ভারত। এই অভিযোগ পাকিস্তানের। ওই দশের মন্ত্রী মন্ত্রী এহসান ইকবাল হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ভারত যতই চেষ্টা করুক না কেন সিপিইসি-এর কোনও ক্ষতি করতে পারবে না। পাকিস্তানের দেশপ্রেমিক জনগণ ভারতের সব চক্রান্ত ব্যর্থ করে দেবে। সব মিলিয়ে সিপিইসি নিয়ে চিন ও পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের টানাপোড়েনে নয়া মাত্র যোগ হয়েছে। এবং আমেরিকা ও ইজরায়েলের সমর্থনে এবার ড্রাগনের থাবা গুঁড়িয়ে দিতে সক্ষম দিল্লি বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
[ফের রক্তাক্ত কাবুল, সেনা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আত্মঘাতী হামলায় মৃত্যুমিছিল]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.