সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘সামনে কুস্তি, পিছনে দোস্তি?’ চিনের সঙ্গে বাণিজ্য-যুদ্ধ ও লড়াইয়ের পিছনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যবসা সম্প্রসারণের ছক? সাম্প্রতিক নথি থেকে এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। গত দু’মাসে ট্রাম্প ও তাঁর কন্যা ইভাঙ্কার সংস্থাগুলিকে ১৮টি ট্রেডমার্কের অনুমোদন দিয়েছে চিন সরকার। ফলে হোয়াইট হাউসের স্বার্থের সংঘাত প্রশ্নে গুরুতর অভিযোগ উঠতে চলেছে।
[ভারতের জাতীয় সংগীত গেয়ে প্রথমবার দিওয়ালি উদযাপন দুবাইয়ে]
চলতি বছর চিনা ট্রেডমার্ক দপ্তর মোট ৩৪টি অনুমোদন দিয়েছে। তার মধ্যে অক্টোবরে ইভাঙ্কা ট্রাম্পের এলএলসি-ই পেয়েছে ১৬টি শর্তসাপেক্ষে ট্রেডমার্কের অনুমোদন। ইভাঙ্কার ব্র্যান্ডের জুতো, ছাতা, হাতঘড়ি, রোদচশমা শুধু নয়, তার মধ্যে আছে ভোটিং মেশিনও। এছাড়া নিউ ইয়র্কে ট্রাম্প টাওয়ারের সদর দপ্তরে থাকা ডিটিটিএম অপারেশনস এলএলসি-কে দু’টি ‘ট্রাম্প’ ট্রেডমার্কও দেওয়া হয়েছে। রেস্তোঁরা, হোটেল ও পানশালার জন্য ওই ট্রেডমার্ক দেওয়া হয়েছে। অথচ তিনমাস আগেই সরকারি কাজে মনোনিবেশ করার জন্য নিজের নামাঙ্কিত ব্র্যান্ড তুলে দেওয়ার কথা বলেছিলেন ইভাঙ্কা। তিনি ও তাঁর বাবা দু’জনেই চিনে প্রচুর মেধাস্বত্বের মালিক। অনেকের আশঙ্কা, সেই সুযোগ চিন রাজনৈতিক স্বার্থে কাজে লাগাবে। ট্রাম্প নিজের এবং মেয়ের স্বার্থে বিদেশনীতি ঠিক করেন কি না, প্রশ্ন তুলেছে সিটিজেন্স ফর রেসপন্সিবিলিটি অ্যান্ড এথিক্স নামে ওয়াশিংটনের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।
গত কয়েকমাসে অন্যান্য দেশের সাথে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বেশ কঠোর অবস্থান নিয়েছে আমেরিকা৷ সবচেয়ে বেশি আলোচনার শীর্ষে এসেছে চিনের সঙ্গে আমেরিকার সাম্প্রতিক বাণিজ্য যুদ্ধ৷ যেখানে বিশ্ববাজারে আধিপত্য কায়েমের লক্ষ্যে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছে দুটি সর্ববৃহৎ অর্থনৈতিক শক্তিধর রাষ্ট্র৷ বিতর্ক তৈরি করে বিভিন্ন দেশ থেকে আমাদানিজাত পণ্যের উপরে শুল্ক ধার্য করেছেন ট্রাম্প। এর পালটা জবাব দিয়েছে চিন৷ তাদের দেশে আমাদানি করা মার্কিন পণ্যের উপর সমান শুল্ক ধার্য করেছে বেজিং৷
[চিনের কাছে ভিক্ষা চাইছেন ইমরান! স্বীকার করল পাকিস্তানের সরকারি টিভি চ্যানেল]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.