Advertisement
Advertisement
China

‘যে বাঘের গলায় ঘণ্টা বেঁধেছে তাকেই খুলতে হবে’, ইউক্রেন ইস্যুতে আমেরিকাকে তোপ চিনের

'এক হাতে তালি বাজে না' বলেও কটাক্ষ বেজিংয়ের।

China slams US on Ukraine-Russia war। Sangbad Pratidin
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:March 19, 2022 2:01 pm
  • Updated:March 19, 2022 2:01 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘এক হাতে তালি বাজে না।’ কিংবা ‘বাঘের গলায় ঘণ্টা যে বেঁধেছে তাকেই খুলতে হবে’। এভাবেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে আমেরিকাকে (US)পালটা দিল চিন (China)। শুক্রবাসরীয় সন্ধেয় বাইডেন-জিনপিং বৈঠক সম্পর্কে প্রকাশিত বিবৃতিতে এভাবেই চাপ বজায় রাখার খেলা অব্যাহত রাখতে দেখা গিয়েছে বেজিংকে। এই যুদ্ধের জন্য আমেরিকা ও ন্যাটো সামরিক জোটকেই পরোক্ষেই দায়ী করছে জিনপিং প্রশাসন।

গতকাল, শুক্রবার ভারচুয়াল বৈঠকে যুদ্ধের আবহে তৈরি হওয়া নতুন সমীকরণ নিয়ে আলোচনা হয় দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে। এরপর সেই ভিডিও কল নিয়ে দীর্ঘ বিবৃতি প্রকাশ করে চিনের বিদেশমন্ত্রক। সেখানেই এই ধরনের চালু প্রবাদের উল্লেখ করে বেজিং তাদের বক্তব্য আবারও পরিষ্কার করে দিল। বিবৃতির অর্ধেকের বেশি অংশ জুড়েই রয়েছে তাইওয়ান নিয়ে আমেরিকা হস্তক্ষেপে চিনের বিক্ষোভ। এরই পাশাপাশি ইউক্রেন ইস্যুতে ন্যাটো যেভাবে কেবলই রাশিয়াকে (Russia) দায়ী করছে, তারও তীব্র প্রতিবাদ করা হয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ভারত সফরে জাপানের প্রধানমন্ত্রী, মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন কিশিদা]

চিনা সরকারি সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, শুক্রবার আলোচনা চলাকালীন জিনপিং বলেন, “যুদ্ধে কারও স্বার্থরক্ষা হয় না। শান্তি ও নিরাপত্তার বিষয়গুলিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের গুরুত্ব দেওয়া উচিত। দুই দেশের সম্পর্ক সামরিক সংঘাতে গড়ানো উচিত নয়।” বিশ্লেষকদের মতে, আলোচনায় চিনা প্রেসিডেন্টের উপর রাশিয়ার পাশে না দাঁড়ানোর জন্য চাপ তৈরি করেছেন বাইডেন। কিন্তু সেই প্রয়াস যে সফল হবে না সে ব্যাপারে নিশ্চিত ছিল ওয়াকিবহাল মহল। বৈঠক সংক্রান্ত বিবৃতি থেকে সেটাই পরিষ্কার হয়ে গেল।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাশিয়াকে মদত দেওয়ার অভিযোগে চিনকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে আমেরিকা। কয়েকদিন আগেই ‘Financial Times’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনে হামলা চালিয়ে যেতে চিনের কাছে হাতিয়ার চেয়েছে রাশিয়া। একইসঙ্গে নিষেধাজ্ঞার প্রভাব কিছুটা শুষে নিতে বেজিংয়ের মদত চেয়েছে মস্কো। আগেই জানা গিয়েছিল যে। মাস্টার কার্ড ও ভিসার মতো আর্থিক লেনদেন সংস্থাগুলি রাশিয়ার কাজ বন্ধ করার পর চিনা সিস্টেম ব্যবহার করছে দেশটি। একইসঙ্গে পণ্য আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রেও চিন বড় বাজার হয়ে উঠতে পারে। ফলে মস্কো-বেজিং বন্ধুত্ব নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন ওয়াশিংটন।

[আরও পড়ুন: যোগীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানকে ‘মেগা ইভেন্ট’ করতে চায় বিজেপি, আমন্ত্রিত অখিলেশ-সোনিয়া]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement