সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের নতুন প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (FDI) নীতির বিরুদ্ধে সরব হল চিন। বিদেশি বিনিয়োগ সংক্রান্ত নয়া নীতিকে ‘বৈষম্যমূলক’ বলে কটাক্ষ করেছে জিংপিংয়ের দেশ। নতুন এই নীতি সরাসরি চিনের বিনিয়োগে প্রভাব ফেলবে বলেও মতপ্রকাশ করেছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, বিশ্বের টালমাটাল অর্থনীতির সুযোগ নিয়ে চিন সরকার বিকল্প পথে বহু সংস্থার শেয়ার কিনে নিচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। এরপরই দেশে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের নীতিতে পরিবর্তন আনে ভারত।
India’s new FDI norms violate WTO principle of non-discrimination: China
Read @ANI story | https://t.co/Z3V21FYfdE pic.twitter.com/ql7gVotngH
— ANI Digital (@ani_digital) April 20, 2020
শনিবার বিবৃতি দিয়ে ভারত সরকার জানিয়ে দেয়, সরকারি অনুমতি ছাড়া সীমান্ত লাগোয়া দেশের নাগরিক বা সংস্থা ভারতে বিনিয়োগ করতে পারবে না। নিয়ম বলছে, ভারতে দুটো পদ্ধতিতে বিদেশি বিনিয়োগ করা যায়। এক, স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি। এ ক্ষেত্রে বিদেশি বিনিয়োগের জন্য সরকারের কোনও অনুমতি লাগে না। দ্বিতীয় পদ্ধতির ক্ষেত্রে সরকারের অনুমতি প্রয়োজন। প্রতিরক্ষা, টেলিকম এবং ওষুধ-সহ এমন ১৭টি ক্ষেত্র রয়েছে, যেখানে বিদেশি বিনিয়োগের জন্য সরকারের অনুমতি নিতে হয়। আগের প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের নিয়ম অনুযায়ী, এ দেশে বিনিয়োগ করতে গেলে শুধুমাত্র পাকিস্তান এবং বাংলাদেশকেই সরকারের অনুমতি নিতে হত। বাকি দেশগুলোর ক্ষেত্রে এ নিয়ম প্রযোজ্য ছিল না। পরিবর্তিত নিয়ম অনুযায়ী এখন চিনকেও সরকারের পথ হয়েই বিনিয়োগের রাস্তায় হাঁটতে হবে।
ভারতের এই নতুন নীতিই স্টার্ট আপ সংস্থাগুলির জন্য বিদেশি মূলধনের জোগানের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করেছিলেন শিল্পমহলের একাংশ। এবার চিন অভিযোগ তুলে জানাল, “ভারত সরকার আদপে উদারীকরণের বিরোধী। তাই মূলধন বিনিয়োগে সরকারি অনুমতি বাধ্যতামূলক করছে।” একইসঙ্গে তাঁদের অভিযোগ, “ভারত সরকারের পরিবর্তিত নিয়ম বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়মনীতির পরিপন্থী”। এ প্রসঙ্গে চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র জি রং বলেন, “চিনা বিনিয়োগের উপর এই নীতির প্রভাব স্পষ্ট।” একইসঙ্গে তাঁর আশা, ভারত সরকার তাঁদের এই নিয়মে বদল আনবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.