সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকা-চিন শুল্ক যুদ্ধের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা। শুল্ক যুদ্ধে বিরতি বা দ্বিপাক্ষিক চুক্তি আপাতত বহুদূরে। রোজই একে অপরকে নতুন নতুন হুমকি দিচ্ছে ওয়াশিংটন ও বেজিং।
বৃহস্পতিবার এই শুল্ক যুদ্ধে আমেরিকার আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে মুখ খুলল চিন। আগামী সপ্তাহে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন। তার আগেই আমেরিকাকে একহাত নিয়ে চিন বলল, শুল্ক যুদ্ধে আমেরিকা ‘নগ্ন সন্ত্রাস’ চালাচ্ছে। চলতি অর্থবর্ষে বৃদ্ধির হার ৩.৩% থাকবে বলে তাদের পূর্বাভাস ছিল। কিন্তু শুল্ক যুদ্ধ ফের শুরু হওয়ায় তা ৩.২% করল তারা। বেজিং সরাসরি ইঙ্গিত দিল, অতি দুর্লভ খনিজ আমেরিকায় রপ্তানি কমাতে পারে তারা। মূল্যবান ও উৎকৃষ্ট ওই খনিজগুলি স্মার্ট ফোন, সামরিক ক্ষেত্রে, যেমন এফ-২২ যুদ্ধবিমান তৈরি করতে ব্যবহৃত হার্ডওয়্যার-সহ বিভিন্ন পণ্য তৈরির জরুরি উপকরণ।
চিন সত্যিই এই সিদ্ধান্ত নিলে শুল্ক যুদ্ধে নতুন মাত্রা যোগ হবে বলে মত বিভিন্ন মহলের। কারণ, বিশ্বে এই খনিজগুলির প্রায় ৯৫% উৎপাদন করে চিন। চাহিদার প্রায় ৮০% চিন থেকেই কেনে আমেরিকা। আমেরিকায় চিনা সংস্থা হুয়েইয়ের ব্যবসায় নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। হুয়েইও হুঁশিয়ারি দিয়েছে, এ নিয়ে মার্কিন আদালতে যাবে তারা। যা নিয়ে উত্তেজনার পারদ চড়ছে দু’দেশের মধ্যে।
এরই মধ্যে চিনা সরকারি সংবাদমাধ্যমের ইঙ্গিত, আমেরিকার উপরে চাপ বাড়াতে ওই খনিজের রপ্তানি কমানো হতে পারে। গত সপ্তাহে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং গুয়াংঝাউ প্রদেশে ওই খনিজ পদার্থের কারখানা দেখতে যান। পরে এক সরকারি কর্তার ইঙ্গিত, খনিজ সম্পদ আগে নিজেদের প্রয়োজনেই ব্যবহার করা উচিত। অন্য দেশের ‘ন্যায়সঙ্গত’ চাহিদা থাকলে বেজিং তা মেটাবে। কিন্তু চিনের উন্নতিতে বাধা হবে, এমন কাউকে তা দিলে দেশের মানুষই অসন্তুষ্ট হবেন। এ দিকে আবার, যে সব দেশের মুদ্রার দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নজর রাখছে, তার মধ্যে রয়েছে চিনও৷
[আরও পড়ুন: জঘন্য পরিষেবা, ৩২৯ জন যাত্রীকে ৪৮ ঘণ্টা অপেক্ষা করাল এয়ার ইন্ডিয়া]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.