সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তর কোরিয়াকে ‘শান্ত’ করতে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ চাইল চিন। পিয়ংইয়ংয়ের লাগাতার পারমাণবিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আমেরিকা সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার সম্পর্ক এখন সাপে-নেউলে। দুই রাষ্ট্রই একে অপরের বিরুদ্ধে পারমাণবিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে তলায় তলায়। এই পরিস্থিতিতে উত্তর কোরিয়াকে শান্ত করতে রুশ প্রেসিডেন্টের হস্তক্ষেপ দাবি করল বেজিং। খবর ইজরায়েল টাইমস-এর।
উত্তর কোরিয়ার লাগাতার পারমাণবিক পরীক্ষায় বেজায় চটেছে পেন্টাগন। কোরীয় উপদ্বীপে মার্কিন নৌসেনা পাঠিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করে কিম পাল্টা হুঙ্কার ছেড়েছেন, ট্রাম্পের বাহিনীকে দেখে নেওয়া হবে ও ক্ষমাহীন জবাব দেওয়া হবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কোনও হুঁশিয়ারিকেই গ্রাহ্য না করে উত্তর কোরিয়ার যুদ্ধবাজ সর্বাধিনায়ক কিম জং উন পাল্টা জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে আমেরিকার কোনও পদক্ষেপই চুপ করে মেনে নেবে না পিয়ংইয়ং। প্রয়োজন পড়লে আমেরিকার বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র প্রয়োগে তৈরি উত্তর কোরিয়াও। ইতিমধ্যেই দেশের সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে নির্দেশ দিয়েছেন কিম জং উন। সূত্রের খবর, আমেরিকাকে চাপে রাখতে দ্রুতই একটি নতুন পরমাণু অস্ত্রেরও পরীক্ষা চালাতে পারে উত্তর কোরিয়া।
উত্তর কোরিয়ার দীর্ঘদিনের বন্ধু চিন এখন চিন্তিত, যে কোনও দিন কিম জন উনের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যেতে পারে বলে। চিন এখন চাইছে, যে করেই হোক সবপক্ষকে আলোচনার টেবিলে এনে বসাতে। চিনের পক্ষ থেকে রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভকে জানানো হয়েছে, “কোরীয় উপদ্বীপের পরিস্থিতি শান্ত করতে চিন অবিলম্বে রাশিয়ার সঙ্গে একজোট হয়ে কাজ করতে রাজি।” চিনা বিদেশমন্ত্রকের ওয়েবসাইট আরও জানিয়েছে, জরুরি পরিস্থিতিতে রাশিয়া, চিন ও আমেরিকার শীর্ষ নেতারা যেন পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে আলোচনায় বসেন। সাধারণ মানুষের কথা ভেবে যে কোনও পরিস্থিতিতে যুদ্ধ এড়ানো উচিত, মনে করছে বেজিং।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.