সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সীমান্তে এখনও উত্তপ্ত ভারত–চিন সম্পর্ক। পরিস্থিতি ভাল হওয়ার পরিবর্তে আরও অবনতির দিকে। যাঁর দরুন বিপাকে চিনা (China) বন্দরে আটকে পড়া দুই ভারতীয় জাহাজের ৩৯ জন নাবিক। ইতিমধ্যে বিষয়টি নয়াদিল্লির (New Delhi) নজরে এসেছে। তাঁরা যোগাযোগ করেছে বেজিংয়ে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে। নয়াদিল্লির অভিযোগ, সীমান্তে উত্তপ্ত পরিস্থিতিরই সুযোগ নিচ্ছে চিন। সেজন্যই ওই দু’টি জাহাজের মাল খালাসের অনুমতিও দেওয়া হচ্ছে না। আবার বন্দর ছাড়ার অনুমতিও দেওয়া হচ্ছে না। তবে বেজিংয়ের এই অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছে, কোভিড সংক্রান্ত বিধির জন্যই এমনটা হচ্ছে। এর সঙ্গে সীমান্ত সমস্যার কোনও সম্পর্ক নেই।
জানা গিয়েছে, অস্ট্রেলিয়া (Australia) থেকে কয়লা নিয়ে আসছিল দু’টি ভারতীয় জাহাজ এমভি জগ আনন্দ এবং এমভি আনাস্তাশিয়া। এর মধ্যে জগ আনন্দ ১৩ জুন থেকে চিনের হেবেই প্রদেশের জিংট্যাং বন্দরে নোঙর করে আছে। তাতে রয়েছেন ২৩ জন যাত্রী। অন্যদিকে, আনাস্তেশিয়া ২০ সেপ্টেম্বর কাওফেইডিয়ান বন্দরে নোঙর করে। সেই থেকে দু’টি জাহাজই মাল খালাসের অপেক্ষায় বন্দরে ঠায় দাঁড়িয়ে। চিনের তরফে পণ্য খালাসের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। বন্দরের ভাড়া গুনতে হচ্ছে। সঙ্গে কমতে শুরু করেছে ওষুধ ও খাদ্যপণ্যের ভাণ্ডার। আবার যোগাযোগ করে বন্দর ছাড়ার অনুমতি চাওয়া হলেও তা দেওয়া হয়নি।
এই প্রসঙ্গে ভারত সরকারের তরফে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, ‘‘বর্তমানে খুবই খারাপ পরিস্থিতিতে রয়েছেন ওই দুই জাহাজের নাবিকেরা। বেজিংয়ে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস লাগাতার চিন সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে। তাঁদের কাছে বারবার আবেদনও করা হচ্ছে, জাহাজ দু’টোকে মাল খালাসের অনুমতি দেওয়া হোক। তা নাহলেও অন্তত যাতে ক্রু মেম্বারদের বদল করতে দেওয়া হয়।’’ নয়াদিল্লির অভিযোগ, সীমান্তে উত্তপ্ত পরিস্থিতির জন্যই চিন এভাবে ওই দু’টো জাহাজকে আটকে রেখেছে। এদিকে, বেজিং আবার নয়াদিল্লির এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। তাঁরা জানিয়েছে, কোয়ারেন্টাইন সংক্রান্ত নিয়মের জন্যই ওই জাহাজ দু’টো আটকে রয়েছে। এর সঙ্গে সীমান্তে উত্তেজনার কোনও সম্পর্ক নেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.