সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে ত্রাস সৃষ্টি করেছে কোভিড-১৯। এহেন পরিস্থিতিতে চিন ও আমেরিকার মধ্যে তুঙ্গে পৌঁছেছে তরজা। করোনা ভাইরাস কি মানুষের তৈরি? চিনের গবেষণাগার থেকেই কি ছড়িয়েছে এই প্রাণঘাতী জীবাণু? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে তদন্ত শুরু করেছে আমেরিকা। বেজিংকে কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘ভুল করলে ফল ভুগতে হবে’। এবার আরও এক কদম এগিয়ে ইউহানে তদন্তকারী দল পাঠানোর দাবি জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে, ট্রাম্পের তদন্তকারী দল পাঠানোর দাবি পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়েছে বেজিং। চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র গেং শুয়াং সাফ বলেন, “এই ঘটনা যেকোনও সময়ে পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তেই ঘটতে পারে। অন্যান্য দেশগুলির মতো চিনও এই ভাইরাসের হানায় বিধ্বস্ত হয়েছে। চিন অপরাধী নয়, বরং ভুক্তভোগী।” বিশ্লেষকদের মতে, চিন থেকেই করোনা ভাইরাস ছড়িয়েছে বলে মনে করছে আমেরিকা ও ইউরোপার একাধিক দেশ। এর আগে থেকেই ওয়াশিংটন ও বেজিংয়ের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ চলছিল। ফলে বর্তমান পরিস্থিতিতে চিনকে বাগে আনতে করোনা নিয়ে শি জিনপিং প্রশাসনের উপর চাপ বজায় রাখতে চাইছেন ট্রাম্প।
ইতিমধ্যে করোনা ভাইরাসের থাবায় আমেরিকায় মৃত্যু হয়েছে ৪২ হাজারেরও বেশি মানুষের। কিছুতেই মৃত্যুমিছিলে লাগাম টানতে পারছে না প্রশাসন। তার উপর আর্থিক সঙ্কটের সিঁদুরে মেঘ রীতিমতো বিপর্যস্ত মার্কিন মুলুক। বাড়ছে বেকারত্ব, বাড়ছে লকডাউন প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভও। বিরোধীদের অভিযোগ, শুরুর দিকে ট্রাম্প প্রশাসনের গা-ছাড়া মনোভাবের জেরেই এই অবস্থা। স্বাভাবিকভাবেই চিনের উপর মার্কিন প্রেসিডেন্টের গোঁসা আরও বাড়ছে। ট্রাম্পের দাবি, আদতে চিনে মৃত্যুর সংখ্যা আমেরিকার থেকেও বেশি। রোজকার মতো রবিবারও হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “চিনে তদন্তে যাওয়া নিয়ে অনেক আগেই ওদের সঙ্গে কথা হয় আমাদের। আমরা চিনে যেতে চাই। কী চলছে, তা দেখতে চাই। আর এজন্য আমরা যে মোটেও আমন্ত্রিত হব না, তা হলফ করে বলতে পারি। চিনের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করে আমি খুশি হয়েছিলাম। এই চুক্তি খুবই খুশি করেছিল আমাকে। তারই মধ্যে এই মহামারির সৃষ্টি হল। আমি একদম খুশি নই।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.