Advertisement
Advertisement

Breaking News

China

আণবিক হাতিয়ারের সংখ্যা দ্বিগুণ করতে চলেছে চিন, সতর্কবার্তা আমেরিকার

আণবিক অস্ত্রের সংখ্যায় আপাতত আমেরিকার ধারে কাছে নেই চিন।

China pushing to double nuclear warhead arsenal
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:September 2, 2020 4:09 pm
  • Updated:September 2, 2020 4:09 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাদাখে আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছে চিন। হানাদার বাহিনীর সঙ্গে ভারতীয় ফৌজের সংঘাতে ক্রমেই তৈরি হচ্ছে প্রবল যুদ্ধের পরিস্থিতি। এহেন সংকট কালে উদ্বেগ উসকে আমেরিকার দাবি, আণবিক হাতিয়ারের সংখ্যা দ্বিগুণ করতে চলেছে চিন।

[আরও পড়ুন: ইসলামের জন্য ‘হারাম’, করোনার সম্ভাব্য টিকা বয়কটের ডাক এই ইমামের]

মঙ্গলবার চিনের সামরিক শক্তি ও অস্ত্রভাণ্ডার নিয়ে একটি রিপোর্ট পেশ করেছে পেন্টাগন। সেখানে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে লালফৌজের হাতে দুশোরও বেশি পারমাণবিক হাতিয়ার রয়েছে। কিন্তু এতেই থেমে থাকছে না কমিউনিস্ট দেশটি। আগামী এক দশকের মধ্যেই এই সংখ্যা দ্বিগুণ বাড়িয়ে তুলতে তৎপর হয়েছে চিন। পাশাপাশি, তাইওয়ানের পক্ষে দাঁড়ালে কীভাবে মার্কিন ফৌজকে রুখে দিতে হবে সেই বিষয়ে রণকৌশল ঠিক করছে ‘পিপলস লিবারেশন আর্মি’ (PLA)। মার্কিন নীতি নির্ধারকদের উদ্বেগ বাড়িয়ে পেন্টাগনের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, রণতরী, জমি থেকে হামলায় সক্ষম ব্যালিস্টিক-ক্রুজ মিসাইল ও এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম তৈরিতে প্রযুক্তির দিক থেকে আমেরিকার থেকেও এগিয়ে গিয়েছে চিন। বর্তমানে জমি ও সাগর থেকে বা সাবমেরিন থেকে আণবিক অস্ত্র বহনে  সক্ষম ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুঁড়তে পারে চিনা ফৌজ। এবার বায়ু থেকেও আণবিক মিসাইল ছুঁড়র প্রযুক্তি হাতে পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে তারা।

Advertisement

পেন্টাগনের রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, আণবিক অস্ত্রের সংখ্যায় আপাতত আমেরিকার ধারে কাছে নেই চিন। কিন্তু সেই ফারাক কমিয়ে আনতে দ্রুত পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে লালফৌজ। ফলে এটা স্পষ্ট, পালটা হামলার জন্য ন্যূনতম হাতিয়ার রাখার নীতি পালটে এবার আক্রমণাত্মক উদ্দেশ্যে আণবিক অস্ত্রভাণ্ডার গড়তে চাইছে দেশটি। ২০৪৯ সালের মধ্যে বিশ্বে সুপার পাওয়ার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে মরিয়া কমিউনিস্ট দেশটি। উল্লেখ্য, দক্ষিণ চিন সাগর থেকে শুরু করে হংকং পর্যন্ত একাধিক ইস্যুতে আমেরিকার সঙ্গে বিবাদ রয়েছে চিনের। গত মাসে দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের সমস্ত দাবি উড়িয়ে দিয়েছে আমেরিকা। সংঘাত আরও বাড়িয়ে মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেও জানিয়েছিলেন, দক্ষিণ চিন সাগরে নিজের কর্তৃত্ব কায়েম করতে গিয়ে চিন অন্য কয়েকটি দেশের সার্বভৌমত্বে আঘাত করছে। বেজিং অবশ্য পালটা তোপ দেগে বলেছে , আমেরিকার বয়ান ‘একবরেই অযৌক্তিক’।

[আরও পড়ুন: প্রকাশ্যে আগ্রাসী চিনের ষড়যন্ত্র, লাদাখ সীমান্তে ওঁত পেতে লালফৌজের যুদ্ধবিমান]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement