সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক। এই দুই-ই নাকি চিন-পাকিস্তানের যৌথ উদ্যোগে তৈরি গদর বন্দরের মূল উদ্দেশ্য। কিন্তু বাণিজ্য ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি নাম করে গদর বন্দরকে লালফৌজের সামরিক ঘাঁটিতে পরিণত করা হচ্ছে।
এবার ওই বন্দরটির সুরক্ষার নামে পাকিস্তানকে দুটি অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ দিল চিন। রবিবার, গদর বন্দরে পাক নৌসেনাকে দু’টি রণতরী সরবরাহ করে চিন। বিশেষ সূত্রের খবর, জাহাজ দু’টিতে রয়েছে অত্যাধুনিক কামান-সহ একাধিক মারণ ক্ষেপণাস্ত্র। চিনের এই পদক্ষেপে বেজায় উদ্বেগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও গোয়েন্দারা।
সম্প্রতি গদর বন্দরটির আধুনিকীকরণের নাম করে ইসলামাবাদকে প্রায় ৪৬ বিলিয়ন ডলারের অর্থ সাহায্য করেছে বেজিং। চিন-পাকিস্তানের মধ্যে প্রস্তাবিত ‘সিপিইসি’ বা ‘চিন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর’-এর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বালোচিস্তানের এই বন্দর। তবে, চিন মুখে যতই বাণিজ্যের কথা বলুক না কেন, আদতে এটি পরিণত হচ্ছে বেজিংয়ের আরেকটি সামরিক ঘাঁটিতে।
কয়েকদিন আগেই করাচি বন্দরে দেখা গিয়েছিল লালফৌজের নিউক্লিয়ার সাবমেরিন। এবার গদর বন্দরে যুদ্ধজাহাজ ভিড়িয়ে ভারতকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিল চিন। যেন চ্যালেঞ্জ করা হল দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকেই! ভারত মহাসাগরে আধিপত্য স্থাপনের চেষ্টায় শ্রীলঙ্কার পর এবার পাকিস্তানেও নিজের নৌবাহিনীর উপস্থিতি ও প্রভাব বাড়াচ্ছে চিন।
সিপিইসি-র একটা অংশ পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ও বালোচিস্তানের মধ্যে দিয়ে গেছে। তাই, ভারত তীব্রভাবে সিপিইসি-র বিরোধিতা করে এসেছে। গদর-সহ পাকিস্তানের অশান্ত বালোচিস্তানেও মোটা অর্থ বিনিয়োগ করেছে চিন। বালোচিস্তানে চলা স্বাধীনতা আন্দোলনকে গুঁড়িয়ে দিতে পাকিস্তানি সেনার বর্বরতাকেও প্রশ্রয় দিয়ে এসেছে বেজিং।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.