Advertisement
Advertisement
Taiwan

ঘনাচ্ছে যুদ্ধের মেঘ, তাইওয়ানের বন্দরগুলি ঘেরাও করতে চলেছে চিন!

জিনপিংয়ের আমলে আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছে বেজিং।

China Poses serious Military Threat, Can Blockade Key Harbours, says Taiwan | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:November 9, 2021 1:30 pm
  • Updated:November 9, 2021 1:50 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাওয়ের ‘লং মার্চ’-এর পর তাইওয়ানে আশ্রয় নেয় বিধ্বস্ত কুওমিনটাং তথা চিনা (China) জাতীয়তাবাদী দলের সমর্থকরা। তারপর থেকেই চিয়াং কাই শেখের নেতৃত্বে নিজেকে গড়ে তোলে দ্বীপরাষ্ট্রটি। আর আজও তা দখল করতে মরিয়া লালচিন। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আমলে আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছে দেশটি। এহেন পরিস্থিতিতে যুদ্ধের আশঙ্কা উসকে তাইওয়ানের বন্দর ও এয়ারপোর্টগুলিকে ঘেরাও করতে পারে লালফৌজ বলে আশঙ্কা।

[আরও পড়ুন: ‘আমরা গিনিপিগ নই’, টিকাকরণের বিরুদ্ধে নিউজিল্যান্ডের রাজপথে হাজার হাজার মানুষ]

মঙ্গলবার ক্রমবর্ধমান চিনা হামলার সম্ভাবনা নিয়ে এক বিবৃতি জারি করে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রক। সেখানে বলা হয়েছে, দ্বীপরাষ্ট্রটির বন্দর ও এয়ারপোর্টগুলিকে ঘেরাও করতে সক্ষম লালফৌজ। এমনটা হলে চরম বিপদে পড়বে দেশটি। কারণ সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দর বন্ধ হয়ে গেলে রসদ, হাতিয়ার ও ওষুধ আমদানি করতে পারবে না তাইওয়ান। শেষমেশ আত্মসমর্পণ ছাড়া আর কোনও পথ থাকবে না তাদের কাছে। তবে পড়শি দেশটির আস্ফালনের জবাব দিয়েছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, তাইওয়ান একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। দেশের স্বাধীনতা রক্ষায় প্রয়োজনে লড়াই হবে।

Advertisement

বরাবরই তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ হিসেবে দাবি করে এসেছে চিন । তবে বেজিংয়ে ক্ষমতার রাশ শি জিনপিংয়ের হাতে আসার পর থেকেই আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছে কমিউনিস্ট দেশটি। একাধিকবার জোর করে তাইওয়ান দখলের কথাও বলেছেন প্রেসিডেন্ট শি। গত শুক্রবার সেই আশঙ্কা আরও বাড়িয়ে এক বিবৃতি জারি করে চিনের তাইওয়ান বিষয়ক দপ্তর। সেখানে স্পষ্ট বলা হয়, স্বশাসিত অঞ্চলটির যে সমস্ত রাজনীতিবিদ তাইওয়ানের স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলবেন তাঁদের অপরাধী তকমা দেওয়া হবে। তাঁদের কোনওদিন চিনের মূল ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। সেখানে তাঁদের কোনও ব্যবসাও করতে দেওয়া হবে না।

বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছে, আফগানিস্তান নিয়ে আমেরিকা (America) জেরবার। ভারত, রাশিয়া ও পশ্চিমের দেশগুলি আপাতত তালিবানের গতিবিধি নিয়ে ব্যস্ত। এটাই তাইওয়ানের উপর চাপ তৈরির মোক্ষম সুযোগ। কারণ মার্কিন মদত ছাড়া লালফৌজের সামনে তাইওয়ান দাঁড়াতে পারবে না। কিন্তু সদ্য আফগানিস্তানে ২০ বছরের লড়াই শেষ করে চিনের মতো শক্তির সঙ্গে সংঘাতে নামতে চাইবে না ওয়াশিংটন। তাই এই সুযোগে তাইওয়ান দখল করার চেষ্টা চালাতে পারে বেজিং।

[আরও পড়ুন: জেহাদিদের স্বীকৃতি দিতে চলেছে পাকিস্তান? এবার ইসলামাবাদ সফরে তালিবানের বিদেশমন্ত্রী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement