Advertisement
Advertisement

Breaking News

China planning new policies on population

উলটপুরাণ! জন্মহার বাড়াতে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা নিয়েছে চিন

১৯৭৮ সালে 'এক সন্তান' নীতির প্রচলন করেছিল বেজিং।

China planning new policies to take on ageing population
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:November 24, 2020 4:39 pm
  • Updated:November 24, 2020 4:39 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এ যেন ফের উলটো পথে ফিরে যাওয়া। ১৯৭৮ সালে দেশের অর্থনৈতিক অভাব দেখা দেওয়ায় জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের পথে হেঁটে ছিল বেজিং। উদ্দেশ্য ছিল, দেশের উৎপাদিত পণ্যসামগ্রীর সঙ্গে চাহিদার ভারসাম্য বজায় রাখা। কিন্তু, আজ ৪২ বছর বাদে পুরনো সেই নীতি বদলে জন্মহার বাড়ানোর উদ্যোগ নিচ্ছে বেজিং। দেশে ক্রমবর্ধমান বয়স্ক মানুষের সংখ্যার সঙ্গে সামঞ্জস্য এনে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা বাড়াতে তারা বিশেষ পদক্ষেপ নিচ্ছে বলেও সূত্রের খবর। এর জন্য ২০২১-২৫ সাল পর্যন্ত পঞ্চবার্ষিকী (five-year plan) পরিকল্পনাও নিয়েছে শি জিনপিংয়ের সরকার।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, চিনে (China) যেভাবে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বাড়ছে তা কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা ক্রমশ কমবে বলেই মনে করছেন শি জিনপিংয়ের প্রশাসন। তাদের হিসেবে অনুযায়ী, গত বছরের শেষ পর্যন্ত গোটা দেশে ৬০ বছর ও তার উপরে থাকা মানুষের সংখ্যা ছিল ২৫ কোটি ৪০ লক্ষ। যা মোট জনসংখ্যার ১৮.০১ শতাংশ। ২০২৫ সালে এই সংখ্যা ৩০ কোটি ও ২০৩৫ সালে ৪০ কোটিতে পৌঁছনোর সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে ২০৫০ সালে পৌঁছে চিনে মাত্র ২০ কোটি লোক কর্মক্ষম থাকবে। এর ফলে যেমন উৎপাদন কম হবে তেমনি বয়স্ক মানুষদের জন্য স্বাস্থ্য পরিষেবার ব্যবস্থা করতে প্রচুর সরকারি অর্থ খরচ করতে হবে। তাই ১৯৭৮ সালে চালু হওয়া এক সন্তান নীতির বদলে চিনের সরকার আরও বেশি সন্তান নেওয়ার জন্য নাগরিকদের উৎসাহ দিচ্ছে। এর জন্য বাড়তি সরকারি সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘আমার কিছু হলে চিনই দায়ী থাকবে’, বিস্ফোরক জমি দখলের অভিযোগকারী নেপালি সাংসদ]

সোমবার চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যমে এই বিষয়ে সরকারের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, নতুন নীতি অনুযায়ী, নাগরিকদের আরও বেশি সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করা হবে। জন্মহার বাড়াতে দম্পতিদের আর্থিক সাহায্যও করা হবে। সেই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রের মানোন্নয়নেও জোর দিতে হবে। এর ফলে চিনের অর্থনীতি আরও বৃদ্ধি পাবে।

[আরও পড়ুন: অবশেষে হার মানলেন ট্রাম্প! বিডেনকে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়ায় ছাড়পত্র মার্কিন প্রেসিডেন্টের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement