সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চার বছরের শাসনকালে মোট তিনবার নেপালে গিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। কূটনৈতিক সম্পর্কের দিক থেকে নেপাল যে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু তা বারবারই স্বীকার করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে মোদির এই পরিকল্পনায় কার্যত জল ঢেলে দিল চিন। নেপালের জন্য দেশের চারটি সামুদ্রিক বন্দর ও তিনটি স্থলবন্দর খুলে দিল বেজিং। যার ফলে ভারতের প্রতি নেপালের বাণিজ্যিক নির্ভরশীলতা অনেকাংশে কমল বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহল।
[বন্ধুত্বের বার্তা ইমরানের, বদলার হুঁশিয়ারি পাক সেনাপ্রধানের]
জানা গিয়েছে, এর ফলে চিনের চারটি সামুদ্রিক বন্দর, শেইনজেন লিয়ায়ুনগাং, ঝানজিয়াং ও তিয়ানজিন ব্যবহার করার অনুমতি পেল নেপাল। পাশাপাশি, তাঁরা ব্যবহার করতে পারবে লানজউ, লাহাসা ও শিগাতেসা স্থলবন্দর। চিনের সঙ্গে থাকা আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেড়িয়ে নেপালের পণ্যবোঝাই ট্রাক প্রবেশ করতে পারবে তিব্বতের শিগাতেসা পর্যন্ত। এমনকি সেখানে থেকে পণ্য প্রবেশ করতে পারবে নেপালে। চিনের পরিবহণও ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে তাঁদের৷ অর্থাৎ চিনের বন্দরগুলিকে ব্যবহার করে এবার আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চালাতে পারবে নেপাল৷ যার জন্য এতদিন তাঁদের নির্ভর করতে হত ভারতের উপরে৷ জানা গিয়েছে, চলতি সপ্তাহেই নেপালের সঙ্গে হওয়া ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট চুক্তি কার্যকর
করেছে চিন৷ সেখানেই স্পষ্ট করা হয়েছে অনুমতির বিষয়টি৷ সূত্রের খবর, এই সম্পূর্ণ যাত্রাপথে চিনের ছটি চেক পয়েন্ট অতিক্রম করতে হবে নেপালের পণ্যবাহী যানগুলিকে৷
[দাউদ-সইদের খোঁজে ভারতকে সাহায্য, ঘোষণা ট্রাম্প প্রশাসনের]
সংবিধানের সংশোধন করে সমানাধিকারের দাবিতে ২০১৫-তে বিশাল বিক্ষোভ দেখায় মদেশীয় সম্প্রদায়৷ কার্যত বন্ধ হয়ে যায় দুই দেশের মধ্যেকার আন্তর্জাতিক সীমানা৷ যার ফলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে ভারত-নেপাল পণ্য পরিবহণ পরিষেবা৷ এরপরেই বিকল্প ব্যবস্থার খোঁজ শুরু করেন নেপালের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি৷ তখনই চিনের সঙ্গে ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট চুক্তি করেন তিনি৷ যা কার্যকর হল চলতি সপ্তাহে৷
কেবল নেপালই নয়, ভারতের আরও এক প্রতিবেশী শ্রীলঙ্কাকেও হাতে রেখেছে বেজিং৷ তাঁদেরও অর্থ সাহায্য দিচ্ছে চিন৷ অন্যদিকে, পাকিস্তানের সব ঋতুর বন্ধু বলে ইতিমধ্যেই নিজেদের প্রমাণ করেছে জিনপিং প্রশাসন৷ ফলে ভারতকে কূটনৈতিক ভাবে দুর্বল করতে প্রতিবেশীদের কাছে টানার কৌশল নিয়েছে লাল চিন এই পরিকল্পনা তাঁদের স্পষ্ট৷ পাশাপাশি প্রশ্ন উঠেছে মোদির বিদেশ নীতি নিয়ে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.