Advertisement
Advertisement

Breaking News

Kazakhstan

কাজাখস্তানের দুঃসময়ে পাশে চিন, ‘যে কোনও সাহায্যের জন্য প্রস্তুত’, জানালেন জিনপিং

অগ্নিগর্ভ কাজাখস্তানে বিক্ষোভকারীদের দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

China opposes any attempt to destabilise Kazakhstan, says Chinese President Jinping | Sangbad Pratidin
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:January 8, 2022 10:41 am
  • Updated:January 8, 2022 11:36 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জ্বালানি মূল্যবৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া বিক্ষোভে অগ্নিগর্ভ কাজাখস্তান (Kazakhstan)। ইতিমধ্যেই বিক্ষোভকারীদের ‘সন্ত্রাসবাদী’ আখ্যা দিয়ে তাদের গুলি করে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্ট কাসিম জোমার্ট টোকায়েভ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনা পাঠিয়েছে রাশিয়া। এবার কাজাখ প্রেসিডেন্টের দিকে সমর্থনের হাত বাড়াল চিন (China)। চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping) জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর পূর্ণ সমর্থন রয়েছে কাজাখ প্রেসিডেন্টের প্রতি।

কাজাখস্তানে কোনও রকমের হিংসাত্মক ঘটন‌াকে বেজিং সমর্থন করে না বলে বিবৃতি দিয়েছেন জিনপিং। পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, কাজাখের স্থিতিশীলতা, সুরক্ষা ও শান্তিপূর্ণ জনজীবনকে নষ্ট করতে বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির যে কোনও রকম প্রয়াসের নিন্দা করছে চিন।
পরিস্থিতি সামলাতে কাজাখ প্রেসিডেন্ট যে সব পদক্ষেপ করেছেন তারও ভূয়সী প্রশংসা করেছেন জিনপিং। তিনি জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টোকায়েভ কার্যকরী পদক্ষেপ করেছেন। একজন রাষ্ট্রনায়কের যথাযথ দায়িত্বই পালন করেছে‌ তিনি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: কাজাখ বিদ্রোহীদের দেখলেই গুলির নিদান প্রেসিডেন্টের, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনা পাঠাল রাশিয়া]

জিনপিং জানিয়েছেন, ‘‘কাজাখস্তানের ভ্রাতৃপ্রতিম এক প্রতিবেশী ও স্থায়ী কৌশলী অংশীদার দেশ হিসেবে যে কোনও প্রয়োজনীয় সাহায্যের জন্য চিন প্রস্তুত।’’ উল্লেখ্য, কাজাখস্তানের সঙ্গে ১ হাজার মাইলেরও বেশি বিস্তৃত সীমান্ত এলাকা রয়েছে চিনের। তাছাড়া চিনে ২ লক্ষেরও বেশি কাজাখ-বংশোদ্ভূত মানুষ বাস করেন।

কিন্তু কী কারণে এমন অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কাজাখস্তানে? এর মূলে রয়েছে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে শুরু হওয়া বিক্ষোভ। জ্বালানি তেলের দাম প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাওয়ার পরেই ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে হাজার হাজার বিক্ষোভকারীর। তবে কেবল এই ইস্যুই নয়, এর সঙ্গে রয়েছে রাজনৈতিক অসন্তোষও। ক্রমশই আন্দোলন সরকারবিরোধী বিক্ষোভে পরিণত হয়। যার জেরে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন প্রধানমন্ত্রী। প্রেসিডেন্ট জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন দেশে। কিন্তু তাতেও বিক্ষোভ থামার লক্ষণ নেই। বরং আরও খারাপ হয়েছে পরিস্থিতি।

[আরও পড়ুন: ৫ লক্ষ ডোজ কোভিড টিকা পৌঁছল কাবুলে, ভারতের মানবিক সাহায্যকে স্বাগত তালিবানের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement