Advertisement
Advertisement

Breaking News

Nancy Pelosi

‘ব্যক্তি স্বাধীনতায় অনেক এগিয়ে চিন’, ন্যান্সি পেলোসির মন্তব্যে তুঙ্গে বিতর্ক

তাইওয়ান থেকে ফিরেই এই মন্তব্য মার্কিন স্পিকারের।

China one of the freest countries, Nancy Pelosi remark sparks controversy | Sangbad Pratidin
Published by: Anwesha Adhikary
  • Posted:August 11, 2022 12:54 pm
  • Updated:August 11, 2022 12:54 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনের তীব্র বিরোধিতা উড়িয়ে তাইওয়ান সফরে গিয়েছিলেন মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। সেই সফরের পরিণতি হিসাবে ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে চিন এবং তাইওয়ানের সম্পর্ক। একে অপরের বিরুদ্ধে সামরিক প্রস্তুতি নিচ্ছে দুপক্ষই। এহেন পরিস্থিতিতে চিনকে ব্যক্তিস্বাধীনতার নিরিখে এগিয়ে থাকা দেশগুলির মধ্যে অন্যতম বলে অভিহিত করলেন পেলোসি (Nancy Pelosi)। তাঁর এই বক্তব্যের ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে নেটদুনিয়ায়। তাইওয়ান সফরের পরেই একটি সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেছেন পেলোসি।

সাক্ষাৎকারে পেলোসি (US Speaker) বলেছেন, “আমরা এক চিন (China) নীতি সমর্থন করি। মার্কিন নেতৃত্বের তাইওয়ান সফরের একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল, চিন-তাইওয়ানের মধ্যে যেন স্থিতাবস্থা বজায় থাকে। ওই অঞ্চলে শান্তি বিঘ্নিত হোক, সেটা একেবারেই আমাদের কাম্য নয়। আমি বলতে চাই, মুক্ত চিন্তার প্রেক্ষিতে বিশ্বের অন্যতম সেরা দেশ হল চিন। সেখানে গণতন্ত্র খুবই শক্তিশালী।” পেলোসির বক্তব্যের ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই নেটিজেনদের আক্রমণের মুখে পড়েন মার্কিন স্পিকার।

Advertisement

[আরও পড়ুন: কোভিডের বিরুদ্ধে ‘বিরাট জয়’ ঘোষণা কিমের, বাস্তবে পরিস্থিতি শোচনীয়, বলছেন বিশেষজ্ঞরা]

পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নামেন আমেরিকার ডেপুটি স্পিকার ড্রিউ হ্যামিল। টুইট করে তিনি বলেন, “স্পিকার আসলে তাইওয়ানের (Taiwan) কথা বলতে চেয়েছিলেন। সেখানকার গণতন্ত্রের প্রশংসা করেছিলেন। গত ৩৫ বছর ধরে পেলোসি চিনা কমিউনিস্ট পার্টির নিন্দা করে আসছেন। এবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।” তবে কী করে মার্কিন সরকারের এক উচ্চপদস্থ নেতা এহেন ভুল করতে পারেন, সেই নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক সমীক্ষাগুলির ফলাফলে ব্যক্তি স্বাধীনতার নিরিখে চিনের স্থান বরাবরই নীচের দিকে থাকে।

পেলোসির সফর শুরু হওয়ার আগেই চিনের তরফে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছিল, এই কাজের ফল ভুগতে হবে তাইওয়ানকে। মার্কিন স্পিকারের সফরের ফলে চিনা অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্বে আঘাত লেগেছে বলে জানানো হয়েছিল। সমস্ত হুংকার উপেক্ষা করেই তাইওয়ানে পা রেখেছিলেন পেলোসি। তাঁর বিদায়ের পরেই তাইওয়ান ঘিরে সামরিক মহড়া শুরু করে চিন। জল এবং আকাশপথে সমস্ত যান চলাচল বন্ধ করে মহড়া চালায় লালফৌজ। পালটা দিতে সামরিক প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে তাইওয়ানও। স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে পেলোসির সফরের পরেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল দু’পক্ষের সম্পর্ক, এহেন পরিস্থিতিতে সফরের প্রয়োজনীয়তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা।

[আরও পড়ুন:ইউক্রেনের পরমাণু কেন্দ্রে রকেট হামলা রাশিয়ার, মৃত কমপক্ষে ১৩]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement