ফাইল ফটো
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা ভাইরাসের প্রকোপে বিশ্বব্যাপী মহামারির সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে সবথেকে খারাপ অবস্থা আমেরিকার। প্রথম থেকেই একে চিনা ভাইরাস বলে ডাকছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চিনের তরফে এর তীব্র প্রতিবাদ করা হলেও নিজের অবস্থান থেকে একচুলও সরেননি তিনি। বরং সমস্যা কাটিয়ে উঠলে শি জিনপিংয়ের বিরুদ্ধে যে পদক্ষেপ নেবেন তাও নিজের হাবভাবে স্পষ্ট করে দিচ্ছিলেন। বিষয়টি নিয়ে টানাপোড়েন যখন তুঙ্গে, ঠিক তখনই চিন লুকিয়ে মাটির তলায় কম মাত্রার পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করেছে বলে অভিযোগ উঠল। আমেরিকার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে প্রকাশিত এই সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরেই প্রবল চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে পুরো বিশ্বে।
এবিষয়ে প্রকাশিত ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের ওই রিপোর্টের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তাতে দাবি করা হয়েছে, ২০১৯ সালে জিংঝিয়াং প্রদেশের লুপ নুর লেকের মাটির নিচে অনেকগুলি কম মাত্রার পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করেছে চিন। জিরো ইয়েল্ড নামে পরিচিত কম মাত্রার এই পরমাণু বিস্ফোরণে বেশি শব্দ হয় না। তৈরি হয় না চেন রিঅ্যাকশনও। তাই সবার আড়ালে এই পরীক্ষা চালালে বিশ্বজুড়ে হইচই হওয়ার সম্ভাবনাও নেই। তাই এই পথ বেছে নিয়ে তারা। তবে কী কারণে এই ধরনের পরীক্ষা তারা করল সেই বিষয়ে কাউকে কিছু জানায়নি। ওই প্রতিবেদনে কম্প্রিহেনসিভ টেস্ট ব্যান ট্রিটি অর্গানাইজেশন (CTBT)-এর এক মুখপাত্রের মন্তব্যও ছাপা হয়েছে। যেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন যে গত বছরের আগস্ট মাস থেকে চিনের পাঁচটি সেন্সর স্টেশন থেকে এবিষয়ে কোনও সিগন্যাল পাওয়া যায়নি। তাঁর এই মন্তব্যই জল্পনা আরও উসকে দিয়েছে।
যদিও আমেরিকার এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে শি জিনপিং প্রশাসন। এপ্রসঙ্গে চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, ‘আমেরিকা অযথা মিথ্যে কথা বলছে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির নিষেধাজ্ঞা মেনে পারমাণবিক পরীক্ষা বন্ধ রেখেছে চিন। সবসময় দায়িত্ববানের মতো আচরণ করছে। তা সত্ত্বেও কোনও তথ্য ছাড়া উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যে অভিযোগ করছে আমেরিকা। যুক্তিপূর্ণ কোনও কারণ ছাড়াই চিনকে দোষারোপ করছে।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.