Advertisement
Advertisement

Breaking News

Pakistan

‘নাগরিকদের সুরক্ষায়’ পাকিস্তানে সেনাঘাঁটি তৈরি করতে চায় চিন, চাপে শাহবাজ সরকার

সেনাঘাঁটির জন্য পাকিস্তানে জায়গা দেখাও শুরু করেছে চিন।

China looking to construct military outposts in Pakistan: Report | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:May 21, 2022 9:08 am
  • Updated:May 21, 2022 9:08 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানে সেনাঘাঁটি তৈরি করতে চায় চিন (China)। বেজিংয়ের যুক্তি, করাচি ইউনিভার্সিটিতে হামলার পর পাকিস্তানে কর্মরত নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য লালফৌজের উপস্থিতির প্রয়োজন রয়েছে। এগিকে, ‘বন্ধু’ কমিউনিস্ট দেশটির এহেন দাবিতে রীতিমতো চাপের মুখে পড়েছে পাকিস্তানে সম্প্রতি ক্ষমতায় আসা শাহবাজ শরিফের সরকার।কারণ, চিনকে সেনাঘাঁটি তৈরির অনুমতি দিলে ভারত,  আমেরিকা ও পশ্চিমের দেশগুলির রোষের মুখে পড়তে হবে ইসলামাবাদকে। 

[আরও পড়ুন: দোনবাসকে ‘নরক’ বানিয়ে ফেলেছে রাশিয়া, ইউক্রেন যুদ্ধের ভয়াবহ ছবি তুলে ধরলেন জেলেনস্কি]

গত ২৬ এপ্রিল করাচি বিশ্ববিদ‌্যালয়ের ভিতর আত্মঘাতী বিস্ফোরণে চারজনের মৃত্যু হয়। ওই হামলার দায় স্বীকার করে ‘বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি’। হামলার পরই চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অত্যন্ত কড়া ভাষায় এই ঘটনার নিন্দা করে বলেন, “চিনের মানুষের রক্ত বৃথা যেতে দেওয়া হবে না। যারা এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে তাদের মূল্য দিতে হবে।” সেই থেকে নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে লাগাতার পাকিস্তানের উপরে চাপ বাড়াচ্ছিল চিন। বলে রাখা ভাল, চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর প্রকল্পে হাজার হাজার চিনা কর্মী পাকিস্তানের করাচি, বালুচিস্তান, গিলগিট-বালটিস্তানে কাজ করছেন। এবার তাদের নিরাপত্তার জন্য পাকিস্তানে সেনাঘাঁটি তৈরি করতে চায় শি জিনপিং প্রশাসন।

Advertisement

সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে সেনাঘাঁটি তৈরি করতে পাকিস্তানে (Pakistan) বিভিন্ন জায়গাও দেখা শুরু করেছে চিন। পাকিস্তানের যে সব অঞ্চলে আমেরিকার প্রভাব ছিল, বিশেষ করে সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে ঠান্ডা লড়াইয়ের সময়, সেই জায়গাগুলিই নাকি বেজিংয়ের পছন্দের তালিকায় রয়েছে। সেনাঘাঁটি তৈরিতে পাক সরকারের ছাড়পত্রের বিনিময়ে চিনও তাদের কিছু সুবিধা পাইয়ে দিতে রাজি। যেমন, যে ঋণের বোঝা রয়েছে পাকিস্তানের কাঁধে, তাতে কিছুটা রেহাই। বেজিংয়ের কাছে ইসলামাবাদের বকেয়া ঋণের বিষয়টি সুবিধাজনক শর্তে দেখা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা।

উল্লেখ্য, ভারতের বিরোধিতা সত্বেও চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর (CPEC) প্রকল্পের অন্তর্গত পাক অধিকৃত কাশ্মীর-সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে পরিকাঠামো নির্মাণ করছে চিন। তবে এই প্রকল্পের যে বিপুল খরচ তার ফলে ক্রমে বেজিংয়ের ঋণের বোঝায় কার্যত চাপা পড়েছে ইসলামাবাদ বলেই মত বিশ্লেষকদের। আর সেই আশঙ্কা যে অমূলক নয় তার প্রমাণও মিলেছে। গতবছর এক রিপোর্টে বলা হয়, চিন-পাক অর্থনৈতিক করিডর প্রকল্প থেকে বিপুল লাভ করে চলেছে চিন। লাভের অঙ্ক নিয়ে পাকিস্তানকে বোকা বানাচ্ছে তারা। পাকিস্তানের শীর্ষ আমলারা এ ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে একটি অডিট রিপোর্ট পেশ করেছিলেন তৎককালীন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কাছে। ২৭৮ পাতার ওই রিপোর্টের ছত্রে ছত্রে ছিল চিনের প্রতি বিষোদ্গার।

[আরও পড়ুন: কাবুলে ফের দূতাবাস খোলার ভাবনা ভারতের, তালিবানকে স্বীকৃতি দিতে চলেছে নয়াদিল্লি?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement