সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নেতৃত্বে করোনা ভ্যাকসিন তৈরি ও বণ্টনের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তাতে শামিল হবে না বলে জানিয়েছে আমেরিকা। এবার সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে এই উদ্যোগে শামিল হতে পারে চিন। এর ফলে আন্তর্জাতিক সংস্থাটিতে বেজিংয়ের গুরুত্ব অনেকটাই বৃদ্ধি পেতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
করোনার বিরোদ্ধে লড়াই করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) নেতৃত্বে ১৫০-র বেশি দেশ ভ্যাকসিনস গ্লোবাল অ্যাক্সেস ফেসিলিটি বা কোভ্যাক্স তৈরি করেছে। আন্তর্জাতিক স্তরে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে ভ্যাসকিন তৈরি ও তা বিতরণ করতেই এই উদ্যোগ। কিন্তু এতে রাজি নয় আমেরিকা। মঙ্গলবার ওয়াশিংটন জানিয়েছে, ভ্যাকসিনের ব্যাপারে WHO এর নজরদারি তাঁরা মানবে না। এই ভ্যাকসিন যাতে নিরাপদ হয়ে মানুষের কাছে পৌঁছায় সেটা আমেরিকা নিশ্চিত করবে। তবে, WHO‘র নেতৃত্বে নয়। তারপরই বুধবার চিনের বিদেশমন্ত্রকে মুখপাত্র হুয়া চুনইং বলেন, “কোভ্যাক্স ও চিনের উদ্দেশ্য একই।” এর আগে, গত মে মাসে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং জানিয়েছিলেন, করোনা টিকা তৈরি হলে বিশ্বের অময় দেশগুলির সঙ্গেও তা ভাগ করে নেবে বেজিং।
এদিকে, WHO’র উদ্যোগে যোগ না দিলেও ভ্যাকসিন তৈরির দিশায় জোর কদমে এগিয়ে চলেছে ট্রাম্প সরকার। এ প্রসঙ্গে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জুড ডেরে বলেন, “মারণ ভাইরাসকে হারাতে আমরা আন্তর্জাতিক সহযোগীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করছি। কিন্তু, হু বা চীনের নেতৃত্বাধীন কোনও উদ্যোগে আমরা শরিক হব না।”
উল্লেখ্য, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনেক আগেই বলেছে, করোনা (CoronaVirus) মোকাবিলায় ভ্যাকসিন সমহারে বণ্টন হওয়াটা খুব জরুরি। বিত্তবান দেশগুলি যদি অর্থের বলে ভ্যাকসিনগুলি কুক্ষিগত করে রাখে তাহলে কোনও কাজই হবে না। তাই ভ্যাকসিন যাতে উন্নয়নশীল এবং অনুন্নত দেশগুলিতেও সমানভাবে বণ্টন করা হয়, তা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশকে একটা নতুন আন্তর্জাতিক জোটে আহ্বান করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কিন্তু আমেরিকা সাফ জানিয়ে দিল, তাঁরা ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নেতৃত্বে কোনও যৌথ প্ল্যাটফর্মে অংশ নিতে পারবে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.