Advertisement
Advertisement
China Bullet Train

অরুণাচল সীমান্ত ঘেঁষে বুলেট ট্রেন চালাল চিন, চালু লাসা-নিংচি রেলপথ

এর ফলে সহজেই সীমান্তে সেনা পাঠাতে পারবে বেজিং।

China Launches First Bullet Train In Tibet, Close To Arunachal Border | Sangbad Pratidin
Published by: Abhisek Rakshit
  • Posted:June 25, 2021 1:12 pm
  • Updated:June 25, 2021 1:12 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অরুণাচল প্রদেশ (Arunachal Pradesh) সীমান্তের কাছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর নিজেদের ভূখণ্ডে দ্রুত পরিকাঠামো তৈরি করছে চিন (China)। ভারতকে (India) চাপে রাখতে সড়কপথের পাশাপাশি এবার রেলপথ উন্নয়নেও নজর দিয়েছে বেজিং (Beijing)। শীঘ্রই এবার ভারতের উত্তর-পূর্বের এই অঙ্গরাজ্যের গা ঘেঁষেই তিব্বতের (Tibet) লাসায় ছুটবে বুলেট ট্রেন। শুক্রবার তারই প্রথম ধাপ হিসেবে তিব্বতের রাজধানী লাসা থেকে নিংচির মধ্যে চলল প্রথম বৈদ্যুতিন বুলেট ট্রেনটি।

আগামী ১ জুলাই চিনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি অব চিন বা CPC-র শতবর্ষ পূর্ণ হচ্ছে। তার আগেই সেদেশের সিচুয়ান-তিব্বত রেলওয়ে চালু করে দিল লাসা-নিংচি ৪৩৫.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেলপথ। এদিন সকালেই প্রথম বুলেট ট্রেনটি চালানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, সিচুয়ান-তিব্বত রেলওয়ে এই অঞ্চলের দ্বিতীয় রেলওয়ে। এর আগে এই এলাকায় কুইনঘাই-তিব্বত রেলওয়ে চালু করেছিল বেজিং। গত বছর নভেম্বরেই এই সিচুয়ান-তিব্বত রেলওয়ের উদ্বোধন করেছিলেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তারপরই দ্রুতগতিতে কাজ শুরু হয়। আর মাত্র কয়েকমাসেই রেলপথ চালুও হয়ে গেল। জানা গিয়েছে, সিচুয়ানের রাজধানী চেঙ্গদু থেকে এই ট্রেনের যাত্রাপথ শুরু হবে। শেষ হবে লাসায়। তবে বুলেট ট্রেনের কারণে ৪৮ ঘণ্টার যাত্রাপথ কমে দাঁড়াবে মাত্র ১৩ ঘণ্টায়।

Advertisement

 

[আরও পড়ুন: ‘লাল সন্ত্রাসে’ গণতন্ত্রের মৃত্যু! Apple Daily নিয়ে চিনকে তীব্র ভর্ৎসনা বাইডেনের]

উল্লেখ্য, অরুণাচল সীমান্ত থেকে নিংচির দূরত্ব খুব বেশি হলে ৫০ কিলোমিটার। অর্থাৎ ভারতের ঘাড়ের উপরই তৈরি হয়েছে এই রুটটি। যদিও যাত্রীবাহী পরিষেবার জন্যই এই পরিকাঠামো তৈরি বলে দাবি চিনের, প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। মনে করা হচ্ছে, লাসা-নিংচি বুলেট ট্রেন চললে মুহূর্তের নির্দেশে অরুণাচল সীমান্তে সেনাদল পাঠাতে সক্ষম হবে লালফৌজ। ফলে যুদ্ধের পরিস্থিতিতে ভারতীয় সেনার প্রতিরক্ষা সমীকরণ পালটে দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেনে তিব্বত থেকে বিশাল সেনাদল বুলেট ট্রেনে পাঠিয়ে দিতে পারে চিনা ফৌজ।

উল্লেখ্য, গালওয়ান উপত্যকায় লালফৌজের সঙ্গে ভারতীয় সেনার সংঘর্ষের পর থেকেই রণনীতি পালটেছে সাউথ ব্লক। পাকিস্তান ভিত্তিক ‘ইনফ্যান্টরি ফর্মেশন’ ছেড়ে ড্রোন ও উন্নতমানের মিসাইল প্রযুক্তি তথা পাহাড়ে যুদ্ধের কৌশল ঝালিয়ে নিচ্ছে ভারত। ভারতীয় সমর বিশেষজ্ঞদের মতে, এতদিন ভারতীয় সেনার রণনীতি ছিল পাকিস্তান (Pakistan) কেন্দ্রিক। যা ‘কোল্ড স্টার্ট ডক্ট্রিন’ নামে পরিচিত। সোজা কথায়, বিশাল ট্যাংক বাহিনীর সঙ্গে হাজার হাজার সৈনিক নিয়ে রাজস্থানের মরু অঞ্চল বা পাঞ্জাবের সমতল থেকে হামলা চালিয়ে পাকিস্তানকে দু’ভাগে ভাগ করে ফেলা। কিন্তু লাদাখ বা অরুণাচলের পাহাড়ি অঞ্চলে তা কাজ করবে না। ফলে সময় ও পরিস্থিতির দাবি মেনে চিন কেন্দ্রিক সমরকৌশল তৈরি করা উচিত। এর অন্যথায় ভবিষ্যতে ফের খেসারত দিতে হতে পারে দেশকে।

[আরও পড়ুন: রাষ্ট্রসংঘে ‘স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক’ প্যালেস্তাইন রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে সওয়াল ভারতের]

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement