সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুক্রবার হংকংয়ে চিনা কূটনীতিক ও চিনে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সামনে বক্তব্য রাখার সময় আমেরিকায় নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূত শি ফেং জানালেন, বেজিং চায় ওয়াশিংটনের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক বজায় রাখতে। কূটনৈতিক বিশ্বে কে কখন বন্ধু হয়, কে শত্রু তা আসলে সমীকরণের খেলা। ডোনাল্ড ট্রাম্প মসনদে প্রত্যাবর্তনের পরই চিনের তরফে বন্ধুত্বের বার্তা সেই কথা মনে করিয়ে দিল। এমনটাই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।
ফেংকে বলতে শোনা গিয়েছে, ”চিন ও আমেরিকার পরস্পরের প্রতি উদ্বেগ রয়েছে। কিন্তু অকপটে যোগাযোগ করার জন্য, একযোগে সমাধান খোঁজার জন্য সমস্যাগুলিকে টেবিলে আনা সম্পূর্ণভাবে সম্ভব।” তাঁর এমন মন্তব্যকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং জানাননি, ট্রাম্প না কমলা কাকে সমর্থন করবেন তাঁরা। তবে তাঁর স্মৃতিতে অবশ্যই ছিল ট্রাম্প ২০১৮ সালে কী করেছিলেন। সেবছরই চিনা পণ্য আমদানিতে ২৫০ বিলিয়ন ডলার শুল্ক আরোপ করে আমেরিকা। ‘বদলা’ নিতে অবশ্য চিনও মার্কিন পণ্যের আমদানিতে চাপিয়ে দেয় ১১০ বিলিয়ন ডলার শুল্ক। এমতাবস্থায় রিপাবিলকানরা ক্ষমতায় আসা মানেই চিনের প্রতি কড়া মনোভাব অব্যাহত রাখবে হোয়াইট হাউস। এমনটাই মনে করা হচ্ছে। আবার নির্বাচনের আগে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সম্পাদকীয় বিভাগের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, মসনদে ফিরলে তিনি চিন ও তাইওয়ানের মধ্যে যুদ্ধ বাঁধলেও মার্কিন সেনা পাঠাবেন না। তাঁর কথায়, ”জিনপিং আমাকে পছন্দ করেন।” সেই সঙ্গেই স্বভাবোচিত ভঙ্গিতে ট্রাম্প এও মনে করিয়ে দিয়েছেন, চিনা প্রেসিডেন্ট ভালোই জানেন তিনি কেমন ‘পাগলাটে’! এই পরিস্থিতিতে ইতিহাসবিদ রানা মিটার জানিয়েছিলেন, ট্রাম্প জিতলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। সম্ভবত সেকথা মাথায় রেখেছেন জিনপিংও। তাই ট্রাম্প ফিরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই চিনের তরফে এল বন্ধুত্বের বার্তা। এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.