সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াতের মন্তব্যে ক্ষোভ জানাল চিন। বেজিংয়ের দাবি, দু’দিন আগে দেশের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে কথা বলেছেন তার সঙ্গে রাওয়াতের কথার কোনও সঙ্গতি নেই। মোদি-জিনিপং বৈঠকে যে মৈত্রীর সুর প্রতিষ্ঠা পেয়েছে তাকে গুলিয়ে দিতে চাইছেন রাওয়াত।
[পাকিস্তানের রক্তচাপ বাড়িয়ে ফের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের হুঁশিয়ারি ভারতের]
রাওয়াত জানিয়েছিলেন, “দেশের উত্তর ও পশ্চিম সীমান্তে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। উত্তর সীমান্তে রয়েছে চিন আর পশ্চিমে পাকিস্তান। উত্তর সীমান্তে পেশি শক্তির প্রদর্শন চলছে। মাঝেমধ্যেই এলাকা দখল করে আমাদের ধৈর্যের পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। এই সুযোগ নিয়ে পশ্চিম সীমান্তেও সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে পাকিস্তান। এই পরিস্থিতির জন্য আমাদের একই সময়ে দুই ফ্রন্টে যুদ্ধের জন্য তৈরি থাকতে হবে।” রাওয়াতের এই মন্তব্যে ক্ষুব্ধ চিন। চিন সরকারের মুখপাত্র জেং শুয়াং বলেন, “মাত্র দু’দিন আগে জিনপিংয়ের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথা হয়েছে। ওই আলোচনায় স্থির হয়েছে যে, দুই দেশ কখনওই একে অপরের শত্রু নয়। বরং দুই দেশ একে অন্যের উন্নয়নে সব ধরনের সহযোগিতা করবে। কিন্তু রাওয়াত যা বলেছেন সেটা ওই বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তের এবং ধারণার সম্পূর্ণ পরিপন্থী। রাওয়াত যা বলেছেন সেটা তাঁর ব্যক্তিগত মতামত না সরকারের বক্তব্যই তিনি তুলে ধরেছেন সেটাই মূল প্রশ্ন। রাওয়াতকে কী ওই কথাগুলি বলতে বলা হয়েছিল? নাকি তিনি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ওই কথাগুলি বলেছেন। কারণ ‘সালামি স্লাইসিং’ নিয়ে (ধীরে ধীরে এলাকার দখল নেওয়া) জেনারেল রাওয়াত যা বলেছেন তাতে চিন ক্ষুব্ধ এবং বিস্মিত।”
[ক্রমশ এগোচ্ছে চিনা সেনা, সতর্ক করলেন সেনাপ্রধান রাওয়াত]
চিনের দাবি, মোদির সঙ্গে আলোচনায় জিনপিং বলেছিলেন, ভারত ও চিন পরস্পরের জন্য বিকাশের সুযোগ তৈরি হবে। দুই দেশ কখনই পরস্পরের জন্য বিপদের কারণ নয়। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, কূটনৈতিক চর্চার আড়ালে ফের আগ্রাসনের জন্য তৈরি হচ্ছে লালফৌজ। তবে সেনাপ্রধান রাওয়াতের কৌশলগত দক্ষতায় উদ্বিগ্ন তারা। মূলত ভারতীয় সেনাপ্রধানের ডোকলাম চালে চিন পিছু হটেছে। প্রতিবেশী দেশকে সেনার ক্ষমতা বুঝিয়ে দিয়েছেন রাওয়াত। বিশেষজ্ঞদের ধারণা এই কারণে তাঁর মন্তব্যে চটে লাল বেজিং। মোদি-জিনপিংয়ের মধ্যে আলোচনা হলেও সীমান্তে কড়া নজরদারি অবশ্য বজায় রেখেছে ভারত। ১৯৬২ সালের ইতিহাসের যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় সেই বিষয়ে সচেতন নয়াদিল্লি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.