Advertisement
Advertisement

এলিয়েনদের সঙ্গে ভাব জমাতে দূরবিনে চোখ চিনের

দক্ষিণ পশ্চিম চিনের ইউনিক উপত্যকায় বিশাল এলাকা জুড়ে তৈরি ওই টেলিস্কোপই এই মুহূর্তে পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় বেতার দূরবীক্ষণ যন্ত্র৷

China invents largest Telescope
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:September 26, 2016 11:18 am
  • Updated:November 3, 2020 8:37 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভিনগ্রহীদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা শুরু করল চিন৷ গত পাঁচ বছর ধরে তিলে তিলে গড়ে তোলা চিনের দানবীয় রেডিও টেলিস্কোপ ‘ফাস্ট’ রবিবার থেকেই শুরু করল বিশ্বের বাইরে প্রাণের সন্ধান৷

১৮ কোটি মার্কিন ডলারের এই প্রকল্পটির (ভারতীয় মূদ্রায় ১২০০ কোটি ৮৪ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা) কম করে ১৭ বছর আগে প্রস্তাব করেছিলেন চিনের মহাকাশচারীরা৷ কিন্তু, তা বাস্তবায়িত করার কাজ শুরু হয় পাঁচ বছর আগে ২০১১ সালে৷

Advertisement

৫০০ মিটার ব্যাসের রন্ধ্রপথ বিশিষ্ট ওই দূরবীক্ষণ যন্ত্রটি অসীম শক্তিশালী এবং অতি সংবেদনশীল৷ আর এই বৈশিষ্ট্যের জন্যই ব্রহ্মাণ্ডের ক্ষীণতম সঙ্কেতকেও এই টেলিস্কোপ চিহ্নিত করতে পারবে বলে জানিয়েছেন চিনের মহাকাশ বিজ্ঞানীরা৷ তাঁরা বলছেন, পৃথিবীর বাইরে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের অন্যত্র প্রাণের অস্তিত্ব নিয়ে এতদিন যা গবেষণা হয়েছে তাতে বিশাল পরিবর্তন আনতে চলেছে ফাস্ট রেডিও টেলিস্কোপ৷ তাঁদের আশা, খুব শীঘ্রই এ ব্যাপারে ভারত এবং বিশ্বের অন্যান্য উন্নত দেশগুলিকে টেক্কা দেবে চিন৷

দক্ষিণ পশ্চিম চিনের ইউনিক উপত্যকায় বিশাল এলাকা জুড়ে তৈরি ওই টেলিস্কোপই এই মুহূর্তে পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় বেতার দূরবীক্ষণ যন্ত্র৷ এর আগে এই স্থান ছিল পুয়ের্তো রিকোর আরসিবো মানমন্দিরের টেলিস্কোপটির৷ কিন্তু, আকৃতি ও প্রযুক্তি সব দিক দিয়েই তাকে অনেক পিছনে ফেলে দিয়েছে চিনের নতুন টেলিস্কোপ৷ ৪৪৫০টি প্রতিফলক প্যানেল দিয়ে তৈরি ওই টেলিস্কোপের রিফ্লেকটরটিই এত বড়, যে তার মধ্যে কমপক্ষে ৩০টি ফুটবল মাঠ ঢুকে যাবে অনায়াসে৷

রবিবার চিনের গুইঝো প্রদেশের পিংটাং কাউণ্টির পাহাড়ে ঘেরা বিশাল এলাকা কার্স্ট-এ টেলিস্কোপটির উদ্বোধনে হাজির হয়েছিলেন অসংখ্য মহাকাশচারী, বিজ্ঞানী এবং মহাকাশ বিজ্ঞান উৎসাহীরা৷ চিনের মহাকাশ বিজ্ঞান সোসাইটির ডিরেক্টর য়্যু জিয়াংপিংয়ের মতে ফাস্ট তাঁদের  নক্ষত্রপুঞ্জের অন্যান্য গ্রহ কিংবা উপগ্রহে বুদ্ধিমান প্রাণীদের খোঁজ দেবে৷ সেই সঙ্গে চিনকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করবে বলেও তাঁর দাবি৷  চাইনিজ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্স-এর অধীনস্থ ন্যাশনাল অ্যাস্ট্রনমিকাল অবজার্ভেশনের উপপ্রধান জেং জিয়াওনিয়ান জানান, মহাকাশ সম্পর্কে অনেক অবাক করা আর অজানা তথ্য নিয়ে আসবে বিশ্বের সামনে এই দূরবিন৷ যা এতদিন সবার কাছে অজানা ছিল৷

প্রসঙ্গত ফাস্ট টেলিস্কোপটি বানানোর জন্য প্রায় ১০ হাজার মানুষকে ঘরছাড়া করেছিল চিন সরকার৷ এই ধরনের টেলিস্কোপের চারপাশে পাঁচ কিলোমিটার পর্যন্ত বেতার নীরবতা বজায় রাখতে হয়৷ তাই সেখান থেকে ১০ কিলোমিটারের দূরত্বে স্থানীয় বাসিন্দাদের নতুন ৬০০টি অ্যাপার্টমেণ্ট তৈরি করেছে চিন সরকার৷ খুব শীঘ্রই বাসিন্দাদের ওই নতুন বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে৷ আপাতত আগামী ১০-২০ বছরের মধ্যে ফাস্টকে বিশ্বের শীর্ষে নিয়ে আসার চেষ্টায় মগ্ন চিন প্রশাসন৷

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement