সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিজেদের দেশে তৈরি কোভিড-১৯ (COVID-19) ভ্যাকসিন সারা বিশ্বের কাছে পৌঁছে দিতে চায় চিন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক শীর্ষ আধিকারিক জানাচ্ছেন, WHO’র গণবন্টন প্রকল্প কোভ্যাক্সের অধীনে এই ভ্যাকসিন (COVID Vaccine) ছড়িয়ে দিতে তাদের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা চালাচ্ছে চিন। অনলাইন এক সাংবাদিক বৈঠকে ওই আধিকারিক একথা জানান। ইতিমধ্যে চূড়ান্ত ট্রায়ালের আগেই চিনের (China) তৈরি ভ্যাকসিন ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে সেদেশের বহু জরুরি পরিষেবা কর্মী ও অন্যান্যদের দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
চিনে অন্তত চারটি পরীক্ষামূলক করোনা ভ্যাকসিন ট্রায়ালের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এই ভ্যাকসিনগুলি পাকিস্তান, রাশিয়া, ব্রাজিল ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতেও পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, চিনের তরফে অনুরোধ করা হয়েছে জরুরি ব্যবহার্যের তালিকায় তাদের ভ্যাকসিনগুলিকে রাখার জন্য। যদি তালিকাভুক্ত করা হয়, তাহলে ওই ভ্যাকসিনগুলির গুণমান ও সুরক্ষার বিষয়টি খতিয়ে দেখবে WHO। তারপর অনুমোদন সাপেক্ষে তা ছাড়পত্র পাবে।
WHO’র শীর্ষ বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন জানিয়েছেন, সারা বিশ্বের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ মানুষকে করোনা ভ্যাকসিন দিতে আরও দু’বছর লাগতে পারে। তিনি জানিয়েছেন, যে সব সংস্থা ভ্যাকসিন তৈরির চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে, তারা এবছরের শেষ কিংবা ২০২১-এর গোড়ায় তাদের ফলাফল প্রকাশ করবে। তিনি বলছেন, ‘‘যদি আমরা একটা লক্ষ্যমাত্রা তৈরি করি যে বিশ্বের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে, তাহলে তা শেষ হতে ২০২২ সাল লেগে যাবে।’’
তাঁর আশা, ভ্যাকসিন ভারত ও বাকি বিশ্বে কয়েক ডলারের বিনিময়ে পাওয়া যাবে। পাশাপাশি আগামী শীতে সংক্রমণ বাড়ার ব্যাপারেও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। সকলকে মাস্ক পরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন স্বামীনাথন। তাছাড়া ভালো করে হাত ধোয়া ও বদ্ধ স্থানে জনসমাগম এড়িয়ে চলারও পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.