সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিন (China) সফর সেরে নেপালে (Nepal) ফিরেছেন সেদেশের বিদেশমন্ত্রী নারায়ণ খড়কা। কাঠমান্ডুকে বিপুল অনুদান দেওয়ার ঘোষণা করেছে বেজিং। ১১৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। সেই সঙ্গে দুই দেশের মধ্যে ট্রেন চালানোর প্রস্তাবেও সম্মত হয়েছে চিন। স্বাভাবিক ভাবেই ১১ সদস্যের দল নিয়ে তাঁর চিন সফরের পরে দেশে ফিরে খুশি নারায়ণ। কিন্তু ওয়াকিবহালের আশঙ্কা, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার পরে এবার নেপালকে ঋণের জালে জড়াতে চাইছে কমিউনিস্ট দেশটি।
জানা গিয়েছে, নেপাল ‘এক চিন’ নীতি মেনে চলার আশ্বাস দেওয়ায় খুশি লালচিন। এদিকে নেপালের বিদেশমন্ত্রী তরফে জানানো হয়েছে, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, স্বাস্থ্য, ট্যুরিজম, কৃষি, শিক্ষা বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনুদানের আশ্বাস দিয়েছে চিন। আর এই ঘোষণার পর থেকেই শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আশঙ্কায় ভুগতে শুরু করেছে ওয়াকিবহাল মহল।
বহু আগেই নেপালকে সতর্ক করেছেন নেপালি অর্থনীতিবিদ বিশ্বম্ভর পোখরায়েল। তাঁর ধারণা, চিনের থেকে ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। পোখরায়েলের কথায়, “অর্থনীতির নিরিখে নেপাল এখন শ্রীলঙ্কার মতো জায়গায় পৌঁছতে পারেনি। অর্থনীতির দিক থেকে স্বনির্ভর হতে গেলে বিদেশি ঋণ নিয়ে পরিকাঠামো নির্মাণের আগে আমাদের দু’ বার ভাবতে হবে।” কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই পথেই এগনো শুরু নেপালের।
আসলে চিনের থেকে ঋণ নিলে কী পরিণাম হতে পারে তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ শ্রীলঙ্কা। দেশটির বিদেশি ঋণের পরিমাণ বিপুল আকার ধারণ করেছে। এবং এই ঋণের অর্ধেকেরও বেশি চিন থেকে নেওয়া। যার জেরে গত সাত দশকে সবচেয়ে বড় আর্থিক সংকটের মুখে পড়েছে দ্বীপরাষ্ট্রটি। এবার উন্নয়নের নামে নেপালের সামনে চিনের ঋণের পসরার ‘জুজু’ থেকেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.