ফাইল ফটো
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা ভাইরাসের নজিরবিহীন তাণ্ডবে ত্রস্ত গোটা পৃথিবী। অসংখ্য মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়ার পাশাপাশি, বিশ্ব অর্থনীতিকে ফের ‘মহা মন্দা’র দিকে ঠেলে দিয়েছে কোভিড-২০। যেহেতু ভাইরাসটির উৎসস্থল চিন, তাই বেজিংয়ের উপর বেজায় খাপ্পা আমেরিকা ও ইউরোপ। ইতিমধ্যেই বেজিংকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে আমেরিকা। এবার, আরও একধাপ এগিয়ে চিনের কাছে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে জার্মানির একটি সংবাদমাধ্যম।
চিনকে তুলোধোনা করে সদ্য একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করেছে জার্মানির প্রথমসারির পত্রিকা ‘বিল্ড’। পর্যটন, উৎপাদন শিল্প-সহ বিভিন্ন খাতে করোনার জেরে হওয়া লোকসানের খতিয়ান তুলে ধরে চিনের বিরুদ্ধে ১৩০ বিলিয়ন পাউন্ডের ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে সেখানে। কড়া ভাষায় বেজিংয়ের সমালোচনা করে ওই প্রবন্ধে বলা হয়েছে, গোটা বিশ্বের কাছে ইচ্ছাকৃতভাবে করোনা সংক্রান্ত তথ্য গোপন করেছে শি জিনপিং প্রশাসন। সঠিক সময়ে বেজিং সমস্ত তথ্য প্রকাশ করলে এই মহামারিকে ঠেকানো যেত। এদিকে, সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে পালটা সংবাদপত্রটির বিরুদ্ধে উগ্র জাতীয়তাবাদ উসকে দেওয়ার অভিযোগ জানিয়েছে বেজিং।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে অচেনা জ্বরে আক্রান্ত হন চিনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী ইউহান শহরের বেশ কয়েকজন বাসিন্দা। তারপরই প্রকাশ্যে আসে করোনা ভাইরাসের কথা। বাকিটা ইতিহাস। বর্তমানে গোটা বিশ্ব কাঁপছে কোভিড-১৯-এর ত্রাসে। তবে, প্রায় ৪ হাজার মানুষের মৃত্যুর পর পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে বেজিং। এদিকে, চিন পরিস্থিতি সামাল দিতে সক্ষম হলেও, রীতিমতো হাঁটু গেড়ে বসে পড়েছে ইউরোপ ও আমেরিকা। ইতিমধ্যে ইউরোপে লক্ষাধিক ও আমেরিকায় ৪০ হাজরেরও বেশি মানুষের প্রাণ কেড়েছে কোভিড-১৯।
সদ্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, চিন ইচ্ছাকৃতভাবে করোনা ভাইরাস ছড়িয়েছে, এই প্রমাণ পেলেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শি জিনপিংকে সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়ে ট্রাম্প সাফ বলেন, “চিনের ভুলের জন্য এখন গোটা পৃথিবীকে ভুগতে হচ্ছে। ওরা চাইলেই ভাইরাসটিকে ছড়ানো থেকে আটকাতে পারত। কিন্তু সেটা করা হয়নি।” এবার, চিনের উপর চাপ বাড়াতে আমেরিকার পাশে দাঁড়াল ইউরোপ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.