সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেজিংয়ের (Bejing) রাষ্ট্রদূত বদলাচ্ছে ভারত। অভিজ্ঞ কূটনীতিবিদ প্রদীপকুমার রাওয়াতকে চিনে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ করছে নয়াদিল্লি। কর্মজীবনের সিংহভাগই তিনি চিন-ভারত সম্পর্ক নিয়ে কাজ করেছেন। সেই প্রদীপকুমারকে (Pradeep Kumar Rawat) সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে বেজিংয়ে নিয়োগ করা নয়াদিল্লির ‘মাস্টারস্ট্রোক’ পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। বেজিংয়ে নিযুক্ত বর্তমান রাষ্ট্রদূত বিক্রম মিশরি হচ্ছেন বিদেশ সচিব।
১৯৯০ সালের আইএফএস আধিকারিক প্রদীপকুমার রাওয়াত। কর্ম জগতে চিন (China Expert) বিশেষজ্ঞ হিসেবেই পরিচিত। বিদেশমন্ত্রকের দপ্তরে কান পাতলেই শোনা যায়, ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সমস্যা মেটাতে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। পেশাদার জীবনের অধিকাংশ সময়ই বেজিংয়ে অথবা নয়া দিল্লিতে বসে চিন-ভারত সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে কেটে গিয়েছে প্রদীপবাবুর।
১৯৯০ সালের আইএফএস অফিসার দীর্ঘদিন ধরে বিদেশমন্ত্রকের পূর্ব এশিয়া বিভাগের প্রধান ছিলেন। ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ভারতের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নেদারল্যান্ডে রয়েছেন তিনি। ইতিপূর্বে ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত পূর্ব এশিয়ার যুগ্ম সচিব ছিলেন প্রদীপবাবু। তার পর ২০২০ সাল পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়া ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব সামলেছেন। এবার সরাসরি বেজিংয়ে পাড়ি জমাতে চলেছেন মান্দারিন ভাষায় দক্ষ এই কূটনীতিবিদ।
ওয়াকিবহাল মহল বলছে, চিন বরাবরই ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা করে থাকে। সেক্ষেত্রে যোগ্য জবাব দিতে সক্ষম প্রদীপকুমার। কারণ, বিদেশমন্ত্রকে নিজের স্মৃতিশক্তি, সাম্প্রতিক ইতিহাসের উপর তাঁর দখল এবং চিন সম্পর্কে তাঁর জ্ঞান একাধিকবার প্রশংসা পেয়েছে। ফলে ভারত-চিন সম্পর্ক মেরামতের ক্ষেত্রে সেই প্রদীপ রাওয়াত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে চলেছেন বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
লাদাখ, উত্তরাখণ্ড, অরুণাচল, হিমাচল প্রদেশ চিনের আগ্রাসন বাড়ছে। প্রকৃত নিয়্ন্ত্রণ রেখা বরাবার বেড়েছে লালফৌজের আনাগোনা। আলোচনার টেবিলে বসেও স্থায়ী সমাধান বের হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতি প্রদীপ রাওয়াতের মতো পোড় খাওয়া কূটনীতিবিদের চিনে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত হওয়া নিসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.