Advertisement
Advertisement
Nepal

নেপালের জমিতে চিনের থাবা, রিপোর্টে পরিষ্কার ‘ড্রাগনে’র অভিসন্ধি

নেপালের হুমলা জেলায় জমি দখল করেছে চিন।

China encroaches on Nepali land | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:March 12, 2022 2:41 pm
  • Updated:March 12, 2022 2:41 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সীমান্ত নিয়ে চিনের (China) সঙ্গে এবার দ্বন্দ্বে জড়াল নেপাল (Nepal)। অভিযোগ, নেপালের হুমলা জেলায় জমি দখল করেছে চিন। ওই এলাকায় নিজেদের সীমানা বাড়িয়ে নিয়েছে বেজিং। বেশ কয়েকমিটার ভিতরে পোঁতা হয়েছে চিনের পতাকাও।

[আরও পড়ুন: যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে নেপালি নাগরিকদের উদ্ধার করল ভারত, মোদিকে ধন্যবাদ দেউবার]

সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, সম্প্রতি চিনা জবরদখল নিয়ে একটি রিপোর্ট পৌঁছেছে নেপাল সরকারের হাতে। সেপ্টেম্বর, ২০২১-এর ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, নেপালের পশ্চিমে হুমলা জেলায় জমি দখল করেছে চিন। শুধু তাই নয়, নেপালি বর্ডার পুলিশের কর্মীদের হুমকিও দিয়েছে চিনা সীমান্তরক্ষীরা। পরিস্থিতি আরও জটিল করে নেপালের জমিতে লালুংজং এলাকায় নেপালিদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয় চিনা জওয়ানরা। একইসঙ্গে, নেপালি পশুপালকদের নেপালেরই জমিতে গরু-মোষ চড়াতে বাধা দিচ্ছে তারা। প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবা প্রশাসনের উদ্বেগ বাড়িয়ে রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, নেপালের জমিতে বর্ডার পিলারের চারপাশে বেড়া দিয়ে একটি খাল ও সড়ক তৈরি করছে চিনা ফৌজ।

Advertisement

তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে চিনা আগ্রাসনের রিপোর্ট নিয়ে মৌন কাঠমান্ডু। সরকারই ভাবে রিপোর্টটি প্রকাশও করেনি দেউবা প্রশাসন। কিন্তু সংবাদমাধ্যমের দৌলতে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যেতে দেশের তথ্যসম্প্রচার মন্ত্রী জ্ঞানেন্দ্র বাহাদুর কারকি বলেন, “ভারত বা চিন, পড়শি দেশের সঙ্গে থাকা যে কোনও ধরনের সীমান্ত বিবাদ কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সমধান করা হবে। এমন সমস্যা (সীমান্ত বিবাদ) হওয়ার কথা নয়। তবে এহেন পরিস্থিতি যাতে দেখা না দেয় সেই বিষয়ে সবসময় সচেষ্ট নেপাল সরকার।”

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরেও নেপালে এভাবেই অনুপ্রবেশ ঘটায় চিন। সীমান্তবর্তী হুমলা জেলায় ১১টি বাড়িও তৈরি করে তারা। এরপর অনেকেই নেপালে চিনা দূতাবাসের সামনে বেজিংয়ের এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভও দেখিয়েছিলেন। এমনকী এই প্রসঙ্গে চিনা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা করেও কোনও লাভ হয়নি। বরং গোরখা, ডোলাখা, হুমলা, দারচুলা, সিন্ধুপালচক, রাসুয়া এবং সাঙ্খুওয়াসাভার মতো জায়গাগুলিতেও নিজের সীমান্ত ইচ্ছেমতো বাড়িয়েছে চিন। প্রতিবাদের বদলে চিনের সুরেই সুর মিলিয়েছিলেন নেপালের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। এবার ফের চিনা আগ্রাসনেরই শিকার হতে হল হিমালয়ের কোলে অবস্থিত ছোট্ট দেশটিকে।

[আরও পড়ুন: ইউক্রেনে এবার ক্যানসার হাসপাতালেও বোমা রুশ সেনার, আক্রমণের ঝাঁজ বাড়াচ্ছে মস্কো]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement