সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকাকে শিক্ষা দিতে ১০ হাজার মার্কিন সেনাকে হত্যা করতে হবে। ডুবিয়ে দিতে হবে মার্কিন নৌসেনার দু’টি বিমানবাহী রণতরী। কয়েকদিন আগে এমনটাই হুমকি দিয়েছিলেন চিনা নৌসেনার এক শীর্ষ আধিকারিক। তারপরই অত্যাধুনিক জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ‘ডিএফ-২৬’ মোতায়েন করল চিন।
[উদ্বেগে ভারত, চিনের দয়ায় পাকিস্তানের হাতে ব্রহ্মস-এর প্রতিপক্ষ]
চিনের সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের মতে, পূর্ব ও দক্ষিণ-চিন সাগরে অত্যাধুনিক জাহাজ বিধ্বংসী ‘ডিএফ-২৬’ ব্যালিস্টিক মিসাইল মোতায়েন করেছে চিনের নৌসেনা। সদ্য তাইওয়ান প্রণালীতে টহল দিয়ে গিয়েছে মার্কিন নৌবহর। তারপরই ওই অঞ্চলে এই মিসাইল মোতায়েন করল লালফৌজ। জানা গিয়েছে, ডিএফ-২৬ ক্ষেপণাস্ত্রটি আণবিক বোমা বহনে সক্ষম। ৪ হাজার ৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত লক্ষ্যে নির্ভুল আঘাত হানতে সক্ষম এই মিসাইলটি। ফলে এর আওতায় রয়েছে গুয়ামের মার্কিন নৌঘাঁটি। এই যুদ্ধাস্ত্রের শক্তিশালী রাডার সমুদ্রে শত্রুর রণতরী মুহূর্তে খুঁজে বের করতে পারে। চিনের এই পদক্ষেপে স্বাভাবিকভাবেই ওই অঞ্চলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই আমেরিকার দু’টি বিমানবাহী রণতরী ধ্বংসের ও ১০ হাজার সেনার হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন চিনা নৌসেনার রিয়ার অ্যাডমিরাল লু ইউয়ান। বর্তমানে ‘চাইনিজ অ্যাকাডেমি অফ মিলিটারি সায়েন্সেস’-এর এক শীর্ষ পদও সামলাচ্ছেন তিনি। দক্ষিণ-চিন সাগরে মার্কিন হস্তক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, কোনও রাখঢাক না করেই তিনি বলেন, “দক্ষিণ-চিন সাগরে আমেরিকার দু’টি বিমানবাহী রণতরী ধবংস করতে সক্ষম আমরা। ওই জাহাজ দু’টি মিলিয়ে প্রায় ১০ হাজার মার্কিন সেনাকে খতম করলেই সমস্ত সমস্যা মিটে যাবে।”
দক্ষিণ-চিন সাগর নিয়ে ঠান্ডা লড়াই চলছে ওয়াশিংটন ও বেজিংয়ের মধ্যে। বিতর্কিত জলরাশির প্রায় সমস্তটাই তাদের বলে দাবি করে চিন। এখানেই শেষ নয়, একই এলাকায় নিজেদের অধিকার সাব্যস্ত করার চেষ্টা করছে তাইওয়ান, ভিয়েতনাম, ফিলিপিন্স, মালয়েশিয়া ও ব্রুনেই। এদিকে আমেরিকার বয়ান, আন্তর্জাতিক জলসীমায় আগ্রাসন মেনে নেওয়া হবে না। তাই দক্ষিণ-চিন সাগরে ‘মুক্ত বিচরণের’ অধিকার বজায় রাখতে সেখানে ক্রমাগত টহল দিচ্ছে মার্কিন রণতরী। পাশাপাশি জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে যৌথ মহড়ায় লালফৌজকে টেক্কা দেওয়ার প্রস্তুতি চালাচ্ছে ওয়াশিংটন। বিশেষজ্ঞদের মতে মার্কিন হুমকিতে মোটেও বিচলিত নয় বেজিং। পালটা প্রস্তুতি নিয়েছে তারাও। দক্ষিণ-চিন সাগরে একের পর এক কৃত্রিম দ্বীপ বানিয়েছে জিনপিং প্রশাসন। বাণিজ্যের আড়ালে দ্বীপগুলিতে মোতায়েন করা হয়েছে ব্যালিস্টিক মিসাইল, আন্টি-এয়ারক্রাফট সিস্টেম ও জঙ্গিবিমান।
[মুখ ফিরিয়েছেন গ্রাহকরা, বন্ধ হচ্ছে প্যারিসের বিখ্যাত নগ্ন রেস্তরাঁ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.