সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বৈরাচারের সমার্থক হয়ে উঠেছে চিন। হংকং থেকে শুরু করে তিব্বত পর্যন্ত কমিউনিস্ট শাসকদের নির্দেশে চলা অকথ্য নিপীড়ন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ভুরি ভুরি উদাহরণ রয়েছে। এবার রাষ্ট্রসংঘের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, কমপক্ষে ১০ লক্ষ তিব্বতি শিশুকে পরিবারের কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছে বেজিং।
সম্প্রতি তিব্বতে চিনা দমননীতি নিয়ে একটি রিপোর্ট পেশ করেছেন রাষ্ট্রসংঘের তিন বিশেষজ্ঞ। ফার্নান্দ দে ভারেন্নেস, ফরিদা শাহিদ ও আলেকজান্দ্রা জানথাকির যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কমপক্ষে ১০ লক্ষ তিব্বতি শিশুকে পরিবারের কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছে বেজিং। রাষ্ট্রসংঘের ওই বিশেষজ্ঞদের কথায়, “গত কয়েক বছরে অত্যন্ত উদ্বেগজনক তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। তিব্বতি শিশুদের জন্য বাধ্যতামূলক আবাসিক স্কুলের ব্যবস্থা আসলে দেশটির সংখ্যাগুরু হানদের সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা। এটা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার নিয়মের পরিপন্থী।”
এদিকে, এই অভিযোগের তীব্র বিরোধিতা করেছে চিন। দেশটির বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, “এই সমস্ত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। এটা চিনের ছবিকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা। ওই স্কুলগুলিতে শিশুদের শিক্ষা ও আবাসের ব্যবস্থা করা হয়। এখানে কিছুই গোপন নয়।”
উল্লেখ্য, পাঁচের দশকে গায়ের জোরে তিব্বত দখল করে চিন। পালিয়ে এসে ভারতে আশ্রয় নেন দলাই লামা ও তাঁর অনুগামীরা। তারপর থেকেই হিমালয়ের বুকে স্থিত দেশটির সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক পরিচয় মুছে দিতে সচেষ্ট বেজিং। এবার সেখানে সংখ্যাগুরু হান সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে কমিউনিস্ট দেশটি। তবে গায়ের জোরে জমি দখল করলেও তিব্বতিদের মন জয় করতে পারেনি চিন (China)। স্বাধীনতার দাবিতে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের গায়ে আগুন দেওয়ার ছবি আজও গায়ে কাঁটা দেয়। তাই বিদ্রোহের আশঙ্কায় লাসার উপর সাঁড়াশি চাপ তৈরি করে ভিক্ষুদের মঠছাড়া করছে কমিউনিস্ট দেশটি বলেও খবর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.