Advertisement
Advertisement

Breaking News

চিন

ভারতকে চাপে রাখতে নয়া কৌশল চিনের, ভুটানের অংশ নিজেদের বলে দাবি বেজিংয়ের!

ভারতকে একঘরে করতেই বেজিংয়ের এই চাল বলে মত কূটনীতিকদের।

China Claims Bhutanese teritorry to increase power and presure Delhi
Published by: Sucheta Chakrabarty
  • Posted:July 6, 2020 2:05 pm
  • Updated:July 6, 2020 6:01 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের উপর চাপ বাড়াতে এবার নয়া কৌশল চিনের। নয়াদিল্লির থেকে থিম্পুকে (Thimpu) দূরে সরাতে ভুটানের সাকতেং অভয়ারণ্য (Sakteng wildlife sanctuary) নিজেদের বলে দাবি করছে চিন। এভাবেই ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলিকে ভয় দেখিয়ে ভারতকে একঘরে করার মতলব করেছে বেজিং।

নেপাল, বাংলাদেশ, পাকিস্তানের পর ভারতকে একা করতে চিনের লক্ষ্য ভুটান। লাদাখ ইস্যুতে সমাধান সূত্র না পেয়ে ভারতকে সকলের থেকে দূরে ঠেলে একঘরে করে রাখার মতলব এঁটেছে চিন। তাই একে একে সকল প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির সঙ্গেই ভারতের বিবাদ তৈরিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বেজিং (Beijing)। ফলে নেপালের পর এবার তাদের নজর পড়েছে ভুটানের সাকতেং অভয়ারণ্যের দিকে। যদিও সাকতেং অভয়ারণ্য নিয়ে চিনের সঙ্গে ভুটানের বিবাদ নতুন নয়। অনেকদিন ধরেই এই অভয়ারণ্য নিয়ে টানাপোড়েন চলছে দুই দেশের মধ্যে। ইতিমধ্যেই বিবৃতি দিয়ে বেজিংয়ের তরফ থেকে জানানো হয়, “ভুটানের পূর্ব, মধ্য এবং পশ্চিম অংশে দীর্ঘদিন ধরেই তাদের সঙ্গে বিবাদ রয়েছে৷ তবে এই বিবাদে যেন কোনও তৃতীয় পক্ষ হস্তক্ষেপ না করে।” প্রথম থেকেই ভুটানের রাজপরিবারের সঙ্গে দিল্লির সখ্যতা রয়েছে। তাই এই বিবৃতি দিয়ে নাম না করে যে বেজিং দিল্লিকেই আক্রমণ করেছেন তা স্পষ্ট সকলের কাছেই। তবে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সংঘর্ষের আবহে ভুটানের সঙ্গে দ্বন্দ্বকে অন্যচোখেই দেখছেন কূটনীতিকরা। তাঁদের মতে, এইভাবেই ভুটানের উপর চাপ বাড়াতে চাইছে চিন। যাতে নেপালের মতো তারাও ভারতের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে চলে।

Advertisement

[আরও পড়ুন:করোনার প্রকোপ থেকে প্রাণে বাঁচলেও ঘ্রানশক্তি হারাতে পারেন আক্রান্তরা! দাবি বিশেষজ্ঞের]

প্রশ্ন হল, হঠাৎ এই অভয়ারণ্য নিয়ে ভুটান-চিন বিবাদ কেন? সাকতেং অভয়ারণ্যের জন্য অনুদান পেতে Global Environment Facility-তে আবেদন জানিয়েছিল ভুটান৷ কিন্তু ভুটানের এই আবেদন নিয়ে প্রথমেই আপত্তি জানিয়েছিল চিন৷ তাদের দাবি, ওই এলাকা নিয়ে বিবাদ রয়েছে৷ ফলে তা নিজেদের বলে দাবি করতে পারে না এই দেশ৷ তবে চিনের আপত্তি সত্ত্বেও ভুটান ওই অনুদান পেয়েছিল৷ পাশাপাশি, নয়াদিল্লিতে অবস্থিত চিনা দূতাবাসকে ভুটানের তরফে কড়া বার্তা দিয়ে জানানো হয় যে, সাকতেং অভয়ারণ্যের গোটাটাই তাদের ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ৷ অন্যদিকে ওয়াংচুক রাজ পরিবারের সঙ্গে নয়া দিল্লির বরাবরের ঘণিষ্ঠ সম্পর্ক মেনে নিতে পারছে না চিন। তাই এই বিবাদকে ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলির উপরে বেজিংয়ের রাগের বহিঃপ্রকাশ বলেই মনে করা হচ্ছে৷

[আরও পড়ুন:মাঝ আকাশে মুখোমুখি সংঘর্ষ, আমেরিকার লেকে দুটি বিমানের খণ্ডাংশ, বেশ কয়েকজনের মৃত্যু]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement