সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তালিবানের (Taliban) আফগানিস্তান (Afghanistan) দখলকে কেবল পাকিস্তানই (Pakistan) নিজেদের জয় হিসেবে দেখছে না। ভারতের আরেক প্রতিবেশী চিনও তালিবানের প্রত্যাবর্তনে খুশি। যদিও ২০১৯ সাল থেকেই যেভাবে বেজিং তালিবানের প্রতি ‘সহমর্মিতা’ দেখিয়েছে, সেটা মাথায় রাখলে তাদের এই মানসিকতা নতুন নয়। চিনের এই তালিবান-প্রীতি ভারতের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে বলেই মনে করছে ওয়াকবহাল মহল।
কেন ‘বন্ধু’ তালিবানের কাবুল দখলে চিনের উল্লাসে সিঁদুরে মেঘ ঘনিয়ে উঠছে? আসলে আফগানিস্তানে যতদিন আমেরিকা ছিল, তত দিন ভারত সুবিধাজনক অবস্থায় ছিল। যেহেতু মার্কিন সেনার উপস্থিতিতে জঙ্গিদের মুক্তাঞ্চল হয়ে উঠতে পারেনি আফগানিস্তান, তাই ভারত নিশ্চিন্ত ছিল। সেদেশে বহু বিনিয়োগও করেছিল নয়াদিল্লি।
কিন্তু সেই দিন আর নেই। মার্কিন সেনা সরতেই ফের অন্ধকারে ‘কাবুলিয়ালার দেশ’। এদিকে আফগানিস্তানে আমেরিকার উপস্থিতি, ভারতীয় সীমান্তে লালফৌজ কিংবা চিনের মদতে পাক সেনার বাড়াবাড়ির ক্ষেত্রে কিছুটা অন্তরায় ছিল। আমেরিকান সেনার বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চিন সেনার সংখ্যা বাড়িয়েছে। আর তাতেই চিন্তার ভাঁজ ভারতের কপালে। সুবিধা পেয়েছে পাকিস্তানও।
আর সেই কারণেই ভারত তালিবানদের প্রতি দরজা একেবারে বন্ধ করে রাখেনি। ১৯৯৬-২০০১ প্রথম তালিবান জমানার মতো স্টান্স এবার নেয়নি নয়াদিল্লি। জেহাদিদের সঙ্গে আলোচনার রাস্তা খোলা আছে। যদিও এখনও ভারত আফগান পরিস্থিতির দিকে খোলা নজর রেখেছে। তবু তালিবানের প্রতি দরজা একেবারে বন্ধ না করে দেওয়াতেই সম্ভবত তালিবান জানিয়েছে, তারা চায় না ভারত ও পাকিস্তান তাদের নিজস্ব ইস্যুতে তালিবানকে টেনে আনুক। যদিও তারই পাশাপাশি কাশ্মীরের মুসলমানদের হয়ে কথা বলার অধিকার তাদের আছে, একথা জানিয়ে ভারতের উদ্বেগ বাড়িয়েছে তালিবান।
এখনও তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি ভারত। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে দিয়েছে। শেষপর্যন্ত কি আফগানিস্তানে সদ্য গঠিত তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেবে ভারত? এই প্রশ্ন এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। কূটনৈতিক মহলের দাবি, সবকিছু ঠিক থাকলে, এই সপ্তাহেই হয়তো তাতে সিলমোহর বসাতে পারে দিল্লি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.