Advertisement
Advertisement

সিকিমের ‘স্বাধীনতা’ চেয়ে আরও বেপরোয়া চিনা সংবাদমাধ্যম

ভুটানের ভু-খণ্ড থেকে চিনা সেনা প্রত্যাহারের দাবি ভারতের।

China asserts claim on Sikkim, warns India
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 6, 2017 5:09 am
  • Updated:July 6, 2017 5:16 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিকিম, ভুটান ও তিব্বতের ত্রিমুখী সংযোগস্থলে সেনা মোতায়েন নিয়ে ক্রমশই সুর চড়াচ্ছে চিনা সংবাদমাধ্যম। বেজিংকে, সিকিম ও ভুটান নিয়ে নিজেদের অবস্থান পুর্নবিবেচনার করার পরামর্শ দিয়েছে চিনের সরকারি সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমস। ওই সংবাদপত্রের সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, চিনা সমাজে সিকিমের স্বাধীনতার দাবি ভবিষ্যতে আরও জোরদার হবে।

[সন্ত্রাস নয়, মোসে ভারতকে মনে রাখবে বন্ধুত্বের জন্য]

Advertisement

সিকিম-ভুটান-তিব্বতের ত্রিমুখী সংযোগস্থলে দোকা লা এলাকায়  ‘ক্লাস ৪০’  রাস্তা তৈরি করতে চাইছে চিন। এধরনের রাস্তা দিয়ে ৪০ টনের সাঁজোয়া গাড়ি যাতায়াত করতে পারে।  এই রাস্তাকে ব্যবহার করে হালকা সাঁজোয়া গাড়ি, কামান ও অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র ভারতের দিকে তাক করে মোতায়েন করতে চাইছে বেজিং। আর এই পরিকল্পনা নিয়ে চিনের সঙ্গে ভারতে সংঘাত এখন চরমে ওঠেছে।  নিজেদের সীমান্ত রক্ষা করতে দো লা এলাকা পুরোদস্তর সেনা মোতায়েনও করে ফেলেছে দুই দেশ। সংকীর্ণ পাহাড়ি রাস্তায় প্রায় ২০ দিন ধরে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছে ভারত ও চিনের সেনা। গ্লোবাল টাইমসের সম্পাদকীয়তে দাবি করা হয়েছে, চিন বা রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অন্য কোনও স্থায়ী সদস্য দেশের সঙ্গে ভুটানের কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। আর এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন অসম চুক্তির মাধ্যমে ভুটানের কূটনৈতিক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে ভারত। সিকিম ভারতের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় থিম্পুর সমস্যা আরও বেড়েছে। বস্তুত, দোকা লা এলাকার চিনের রাস্তা তৈরি পরিকল্পনার বিরুদ্ধে প্রথম মুখ খুলেছিল ভুটানই।

[ভারত-ইজরায়েলের মধ্যে ৭টি চুক্তি, সন্ত্রাসবাদ দমনে হাতে-হাত]

তবে চিন যতই সুর চড়াক, ভারত যে কোনও চাপের কাছে নতিস্বীকার করবে না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে নয়াদিল্লি। প্রতিরক্ষামন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী সুভাষ ভামরে বলেছেন, ‘চিনের সেনা আগে যেখানে ছিল, সেখানে তাদের থাকা উচিত। ভুটানের ভু-খণ্ডে প্রবেশ করা উচিত নয়। এটাই আমাদের অবস্থান।’ পাশাপাশি, কুটনৈতিক পথেই এই সমস্যা সমাধানের পক্ষেও সওয়াল করেছেন তিনি।

[সমুদ্র সৈকতে ভেসে উঠল চোখ-মুখহীন প্রাণীর মৃতদেহ]

এরইমধ্যে দোকা লা এলাকায়  সেনা ভারতের সেনা মোতায়েন নিয়ে মুখ খুলেছেন ভারতে চিনা দূতাবাসের রাজনৈতিক বিশ্লেষক লি ইয়া। তাঁর বক্তব্য, ওই স্পর্শকাতর এলাকাটি ভুটানের বলে ভারত দাবি করলেও এর কোনও সারবত্তা নেই। বরং বেজিংয়ের কাছে এমন অনেক পুরনো নথি আছে, যাতে প্রমাণ হয়, দোকা লা আসলে চিনেরই। পাশাপাশি, দ্বিপাক্ষিক আলোচনা শুরুর আগে ভারতকে দোকা লা থেকে ভারতকে অবিলম্বে ও নিঃশর্তভাবে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, সিকিম-ভূটান- তিব্বতের ত্রিমুখী সংযোগস্থলে দোকা লা এলাকাটি ভুটানে দোকলাম নামে পরিচিত।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement