সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রমেই কমছে চিনের (China) জনসংখ্যা। দেশে বৃদ্ধ ও অক্ষম মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। এহেন পরিস্থিতিতে জনসংখ্যা বাড়াতে নয়া পন্থা নিল চিন। এবার একাকী মহিলাদের জন্য আইভিএফ (IVF) পদ্ধতিতে সন্তান ধারণের অনুমতি দিল সেদেশের প্রশাসন। সেই সঙ্গে একাকী মহিলাদের জন্যও সমস্ত মাতৃত্বকালীন সুবিধা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে দেশের নেতাদের তরফে এখনও এই সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে সরকারিভাবে কিছু বলা হয়নি। তবে সরকারি হাসপাতাল থেকে আইভিএফ পদ্ধতিতে সন্তান ধারণ করতে পারবেন না একাকী মহিলারা।
শিজুয়ানের মতো চিনের বেশ কিছু প্রদেশে কিছুদিন আগে থেকেই একাকী মহিলাদের সন্তান ধারণের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এবার গোটা দেশের সেই নির্দেশ কার্যকর করা হল। জানা গিয়েছে, জনসংখ্যা কমে যাওয়ার কারণে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন চিনা প্রশাসন। এহেন পরিস্থিতিতে চিনা উপদেষ্টারা দাবি করেন, একাকী মহিলাদের সন্তান ধারণের অনুমতি দেওয়া হলে একলাফে অনেকখানি বাড়তে পারে সন্তান জন্মের হার। বেশ কয়েকটি প্রদেশে পরীক্ষামূলক ভাবে এই অনুমতি কার্যকর হওয়ার পর এবার গোটা দেশেই সন্তানের জন্ম দেওয়ার অধিকার পেলেন একাকী মহিলারা।
চিনা প্রশাসনের তরফে আরও বলা হয়েছে, বিবাহিতদের মতোই সমস্ত সুবিধা পাবেন একাকী মায়েরা। কর্মক্ষেত্রে সবেতন ছুটি, সন্তানদের জন্য দেশের আর্থিক সাহায্য- সমস্ত কিছুই পাবেন তাঁরা। প্রশাসনের এই নির্দেশে বেশ খুশি চিনা মহিলারা। চেন লুওজিন নামে এক ডিভোর্সি মহিলার মতে, “বিবাহিত জীবন সকলের সমান কাটে না। কিন্তু বিবাহের সঙ্গে সন্তান ধারণের বিষয়টি এক করে ফেলা ঠিক নয়।”
জনসংখ্যা বৃদ্ধি ছাড়াও নয়া পন্থার মাধ্যমে ব্যবসায়িক লাভের সুযোগ বাড়বে চিনে। ইতিমধ্যেই আইভিএফ পদ্ধতিতে চিকিৎসা বিশ্বের অন্যতম লাভজনক একটি ব্যবসা। একাকী মহিলাদের মধ্যে এখন আইভিএফ পদ্ধতিতে চিকিৎসার চাহিদা বাড়বে চিনে। সেই কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু বিনিয়োগকারী চিনের চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে আপাতত বেসরকারি হাসপাতালেই এই চিকিৎসা মিলবে একাকী মহিলাদের জন্য।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.