Advertisement
Advertisement
Russia

চিনের সঙ্গে মিলে যুদ্ধাস্ত্র তৈরি রাশিয়ার, অশনি সংকেত ভারতের জন্য?

চিনের সাহায্যে তৈরি অস্ত্র রাশিয়া ব্যবহার করবে ইউক্রেন যুদ্ধে!

China aiding Russia's biggest defence expansion

ফাইল ছবি

Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:April 13, 2024 4:28 pm
  • Updated:April 13, 2024 4:28 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যতদিন যাচ্ছে বন্ধুত্ব গাঢ় হচ্ছে চিন ও রাশিয়ার মধ্য়ে। মস্কো-বেজিংয়ের এহেন দহরম মহরমে সিঁদুরে মেঘ দেখছে ভারত। কূটনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে, দুদেশের এই বন্ধুত্বের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে রাশিয়া ও নয়াদিল্লির সম্পর্কে? সম্প্রতি এক রিপোর্টে আমেরিকা দাবি করেছে, রাশিয়ার সঙ্গে হাত মিলিয়ে অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র তৈরি করছে কমিউনিস্ট দেশটি। যার প্রভাব পড়তে চলছে ইউক্রেন যুদ্ধে। কিয়েভের জন্য যা বড় অশনি সংকেত। গোটা ঘটনা প্রভাবের উপর নজর রাখছে ভারতও। 

সংবাদ সংস্থা সিএনএন-তে প্রকাশিত এক রিপোর্ট অনুযায়ী, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের কয়েকজন উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিক দাবি করেছেন, রাশিয়ায় ফুলেফেঁপে উঠছে অস্ত্র তৈরির কারখানাগুলো। সোভিয়েত যুগের পর এটাই সেদেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বড় সম্প্রসারণ। আর তাতে মদত জোগাচ্ছে চিন। সেদেশের মাটিতেই মস্কোর সঙ্গে মিলে হাতিয়ার তৈরি করছে বেজিং। বানানো হচ্ছে ড্রোনও। তাঁদের আরও দাবি, ক্রমশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত হচ্ছে চিন ও রাশিয়ার মধ্যে। ২০২৩ সালে ৯০ শতাংশ ইলেকট্রনিক পণ্য চিন থেকে এসেছে মস্কোতে। যা রশ প্রশাসন ট্যাঙ্ক, মিসাইল, যুদ্ধজাহাজ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: এলোপাথাড়ি ছুরির কোপ, গুলিবৃষ্টি, উন্মত্ত যুবকের হামলায় সিডনিতে মৃত অন্তত ৬!]

বলে রাখা ভালো, দুবছর ধরে রণক্ষেত্রে লড়াই পর ইউক্রেনের অস্ত্র ভাণ্ডারে টান পড়েছে। আমেরিকা-সহ পশ্চিমের বেশ কয়েকটি দেশ কিয়েভকে সমরাস্ত্র জোগাচ্ছে। আর এদিকে রাশিয়ার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে চিন। সমর বিশেষজ্ঞদের মতে, বেজিংয়ের সাহায্যে যে অস্ত্রগুলো তৈরি হচ্ছে তা রাশিয়া ব্যবহার করবে যুদ্ধের ময়দানে। যাতে চাপ বাড়বে প্রতিপক্ষের উপর।  আর এদিকে মস্কোয় বিনিয়োগের মাধ্যমে ব্যবসার মুনাফা ঘরে তুলবে চিন।

উল্লেখ্য, গত বছরের মার্চ মাসে রুশ সফরে গিয়েছিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। বৈঠক করেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে। তখনই আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছিল এর ফলে কি মস্কোর সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পর্কে অবনতি হতে পারে। কিন্তু ভারতের ‘বন্ধু’ দেশ রাশিয়া জানিয়ে দিয়েছিল, চিনের সঙ্গে জোট বাঁধার কারণে পুরনো সম্পর্ক কোনওভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।

তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, লাদাখে চিনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাত নিয়ে ভারতকে শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করার পরামর্শ দিয়েছিল রাশিয়া। সরাসরি জিনপিং প্রশাসনের বিরুদ্ধে মুখ খোলেনি ক্রেমলিন। ফলে ভবিষ্যতে কোনও দিন লাদাখে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলে কয়েক দশকের বন্ধুকে পাশে পাবে কিনা দিল্লি তৈরি হচ্ছে সেই সংশয়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement