সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তর থেকে দক্ষিণ। হামাস নিধনে কার্যত গোটা গাজা ভূখণ্ড গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ইজরায়েলি ফৌজ। ইজরায়েলের হামলায় ভেঙে পড়েছে সেখানকার স্বাস্থ্যব্যবস্থা। দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট। গাজাজুড়ে এখন শুধুই হাহাকার। অনাহারে ভুগতে হচ্ছে শিশুদের। এহেন পরিস্থিতিতে, উদ্বেগ প্রকাশ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, অনাহারের জেরে গাজায় প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ১৬টি শিশু। আগামিদিনে এই পরিস্থিতি আরও ভয়ংকর হতে চলেছে বলে আশঙ্কা WHO-র।
গত পাঁচ মাস ধরে গাজায় তীব্র আক্রমণ শানাচ্ছে ইজরায়েলি ফৌজ। অভিযান চালানো হচ্ছে গাজার হাসপাতালগুলোতেও। যুদ্ধের বলি শিশুরা। আশঙ্কা প্রকাশ করে WHO-র প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রিয়েসুস জানিয়েছেন, “অক্টোবর মাস থেকে বিভিন্ন সংস্থা গাজা পরিদর্শনে গিয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে তারা আল-অওদা এবং কামাল আদওয়ান হাসপাতালের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছে। ১০ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তারা সকলেই অতিরিক্ত অপুষ্টিতে ভুগছিল। এই পরিস্থিতি আরও ভয়ংকর হবে।”
বিবিসি সূত্রে খবর, হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রক রবিবার জানিয়েছে, অন্তত ১৫ জন শিশু ডিহাইড্রেশন ও অপুষ্টির কারণে প্রাণ হারিয়েছে। গাজার এক স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, সোমবার রাফাতেও অনাহারে ভুগে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বলে রাখা ভালো, গত বৃহস্পতিবার ত্রাণ নিতে গিয়ে ইজরায়েলি সেনার গুলিতে প্রাণ হারান ১০৪ প্যালেস্তিনীয়। এর পর আমেরিকা সিদ্ধান্ত নেয় আকাশপথে ত্রাণ পাঠানো হবে। আপাতত রেডি টু ইট খাবার দেওয়া হবে। খাদ্য সংকটে এই ত্রাণের ভরসাতেই গাজার সাধারণ মানুষের দিন কাটছে।
যতদিন যাচ্ছে গাজায় বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। সেখানকার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী এই সংখ্যা ৩০ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে। যার মধ্যে অধিকাংশই মহিলা ও শিশু। কয়েকদিন আগেই এনিয়ে একটি রিপোর্ট দিয়েছে পেন্টাগন। জানা গিয়েছে, গাজায় এখনও পর্যন্ত কতজন মহিলা ও শিশু প্রাণ হারিয়েছে তা নিয়ে হাউস কমিটি অন আর্মড সার্ভিসেসের একটি শুনানিটিতে আইন প্রণেতারা প্রশ্ন করেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিনকে। যার উত্তরে তিনি বলেন, “সংখ্যাটা ২৫ হাজারেও বেশি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.