সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিবিআইয়ের জালে ডন দাউদ ইব্রাহিমের সহযোগী। ভারতীয় গোয়েন্দা দপ্তরের বড়সড় সাফল্য। দুবাই থেকে ধরা পড়ল দাউদ সহযোগী ফারুক টাকলা। বৃহস্পতিবার সকাল ৫.৩০ মিনিটে এয়ার ইন্ডিয়ার বিশেষ বিমানে টাকলাকে দুবাই থেকে মুম্বই নিয়ে এসেছে সিবিআইয়ের একটি দল। এখন চলছে লাগাতার জেরা। বিশেষ টাডা কোর্টের আওতায় বিচার হবে টাকলার। ১৯৯৩-এ মুম্বই বিস্ফোরণের অন্যতম ষড়য্ন্ত্রকারীর তালিকায় রয়েছে এই টাকলার নাম।
৯৩-এর ধারাবাহিক বিস্ফোরণের পর দাউদের সঙ্গেই দেশ ছেড়ে বেপাত্তা হয়ে যায় ফারুক টাকলা। এরপরেই বিস্ফোরণের তদন্তে নেমে মুম্বই পুলিশ জানতে পারেন ধারাবাহিক বিস্ফোরণে দাউদের পাশাপাশি টাকলাও জড়িত। এর প্রত্যক্ষ মদতেই ঘটেছে বিস্ফোরণ। এরপরেই মুখ্য মুম্বই বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্রকারীর অভিযোগে মামলা দায়ের হয় টাকলার নামে। তবে দুবাইতে পালিয়ে যাওয়ার জন্য তার টিকি ছুঁতে পারছিল না সিবিআই। কিন্তু টাকলা-সহ অন্যান্য দাউদ সহযোগীর খোঁজে তৎপর ছিল সিবিআই। ১৯৯৫-তেই ভারতের অনুরোধে টাকলার বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিস জারি করে ইন্টারপোল।
সম্প্রতি বিশেষ সূত্রে সিবিআইয়ের কাছে খবর আসে দুবাইতে রয়েছে টাকলা। সেই মতো ঘুঁটি সাজান গোয়েন্দারা। এরপর সংযুক্ত আরব আমিরশাহির সহায়তায় দুবাই থেকে গ্রেপ্তার করা হয় টাকলাকে। এই গ্রেপ্তারিতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে সিবিআই। এরপর এদিন এয়ার ইন্ডিয়ার বিশেষ বিমানে (এআই-৯৯৬) করে মুম্বইতে আনা হয়েছে টাকলাকে। এবার টাডা আইনে শুরু হবে বিচার প্রক্রিয়া। দাউদ ঘনিষ্ঠের গ্রেপ্তারিকে বড় মাপের সাফল্য হিসেবে দেখছে সিবিআই। ৯৩-এর বিস্ফোরণের পর যে অন্ধকারে ঢিল ছোড়া চলছিল, সেই কাজে এবার হালে পানি পাওয়া গেল বলে মনে করা হচ্ছে। টাকলার সূত্র ধরে দাউদের খোঁজ পাওয়া যাবে। এমনটাই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.