সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তেজনার পারদ চড়েছিল ক’দিন আগে থেকেই। অবশেষে ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায় রুশ বাহিনী। মঙ্গলবার ১৩ দিনে পড়ল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia-Ukraine War)। রাজধানী কিয়েভ, অন্যতম বড় শহর খারকভ-সহ ইউক্রেনের বিরাট অংশে কেবলই ধ্বংসের ছবি। যুদ্ধ যে কোনও সমাধান নয়, ফের প্রমাণ হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে। একদিকে যেমন রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হানায় ইউক্রেনের বহু সরকারি ভবন, অসামারিক বসতি নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। তেমনই দু’পক্ষের অসংখ্য মানুষের (সামরিক ও অসামরিক) মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে কার্যত ‘মৃত্যুপুরী’ ইউক্রেন।
এদিন রুশ হামলায় কিয়েভের পার্শ্ববর্তী এলাকার একটি স্কুল ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। যদিও এই হামলায় প্রাণহানীর খবর নেই। একটি পরিসংখ্যান বলছে, তেরোদিনের যুদ্ধে ২০২টি স্কুল, ৩৪টি হাসপাতাল নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। সাধারণ বসতি অঞ্চলের ১৫০০টি বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে রুশ বাহিনী। দেশের ৯০০টি গুরুত্বপূর্ণ ভবনের জল ও বিদ্যুৎ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।
সোমবার রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার দপ্তর জানিয়েছে, যুদ্ধে ৪০৬ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ২৭ জন শিশু।গুরুতর আহতের সংখ্যা ৮০১। যদিও মৃতের প্রকৃত সংখ্যা অনেকটাই বেশি বলে মনে করা হচ্ছে রাষ্ট্রসংঘের তরফেই। এদিকে ইউক্রেনের দাবি, ১২ হাজার রুশ সেনার মৃত্যু হয়েছে পালটা মারে। এছাড়াও পুতিনের সেনার ২ হাজার সামরিক সরঞ্জামের ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ২৮৫টি ট্যাঙ্ক, ৪৪টি যুদ্ধবিমান ও ৪৮টি কপ্টার। যদিও মস্কোর দাবি, ৪৯৮ জন রুশ সেনার মৃত্যু হয়েছে এখনও পর্যন্ত। আহত হয়েছেন ১ হাজার ৫৯৭ জন। এখনও অবধি কতজন ইউক্রেনীয় সেনার মৃত্যু হয়েছে তা কোনওপক্ষই জানায়নি। জেলেনস্কির সেনার ক্ষয়ক্ষতির বিষয়িটও স্পষ্ট নয়।
এদিকে রাষ্ট্রপুঞ্জ জানিয়েছে, ‘মৃত্যুপুরী’ ইউক্রেন ছেড়েছেন ১৭ লক্ষ মানুষ। যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে বড় শরণার্থী সঙ্কট বলে মনে করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, এর মধ্যে পোল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ১২ লক্ষ ছিন্নমূল মানুষ। আশ্রয়ের খোঁজে রোমানিয়ায় চলে গিয়েছেন ৩ লক্ষ ঘরছাড়া।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.