Advertisement
Advertisement

Breaking News

হিমঘরে কিশোরীর দেহ, আশা পুনর্জন্মের

আদালত কেন মৃত কিশোরীর দেহ সংরক্ষণে নির্দেশ দিল? সত্যিই কি সে ফের বেঁচে উঠবে?

Cancer victim, 14, becomes first Brit child to be cryogenically frozen
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:November 19, 2016 9:41 am
  • Updated:November 19, 2016 9:41 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্যানসারে মারা গিয়েছে ১৪ বছরের মেয়েটি৷ তার আশা ছিল ১০০ বছর পর চিকিৎসকদের কল্যাণে সে বেঁচে উঠবে৷ তাঁর শেষ ইচ্ছেকে কুর্নিশ জানাল লন্ডনের আদালত৷ হাই কোর্ট তার রায়ে কিশোরীর দেহ হিমঘরে পাঠতে নির্দেশ দিল৷ আদালতের এই অপ্রত্যাশিত ও নজিরবিহীন রায়ে মেয়ের নবজন্মের আশায় বুক বাঁধলেন তাঁর মা৷ তরল নাইট্রোজেনে রাখা হয়েছে মেয়েটির দেহ৷ নাইট্রোজেনকে তরলে রূপান্তরিত করতে হিমাঙ্কের নিচে ১৯৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নিয়ে যেতে হয়৷ নাইট্রোজেনের হিমাঙ্ক মাইনাস ২১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷ শতকের পর শতক এই প্রক্রিয়ায় দেহ অবিকৃত থাকে৷
বিচারককে চিঠি লিখে ওই কিশোরী জানিয়েছিল, “আমার বয়স মাত্র ১৪৷ আমি বেঁচে থাকতে চাই৷ কিন্তু আমার আয়ু ফুরিয়ে এসেছে৷ আমার দেহ যদি ক্রায়ো প্রিজারভেশন পদ্ধতির মাধ্যমে সংরক্ষিত করে রাখা যায়, তাহলে ১০০ বছর পর হলেও আমার সুস্থ হওয়ার ও বেঁচে ফিরে আসার সুযোগ থাকবে৷” মেয়েটির বাবা-মায়ের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে৷ সে বিচারককে জানায়, তার মা চাইলে দেহ সৎকার করতে পারবেন৷ কিন্তু কিশোরীর বাবা মেয়েটির দেহ সংরক্ষণের বিষয়ে সহমত হননি৷ তবে মাকে সবসময়েই পাশে পেয়েছে সে৷ কিছুদিনের মধ্যেই মারা যায় সে৷ আদালত এই ঘটনার পরই কিশোরীর ইচ্ছাপূরণে উদ্যোগী হয়৷
আদালতের তরফে বলা হয়, বিজ্ঞানের কথা ভাবা হয়নি৷ অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে এক কিশোরীর মৃত্যু ও তার পারিবারিক দ্বন্দ্বের কথা মাথায় রেখে এই প্রথম এরকম বেনজির রায় দেওয়া হয়েছে৷ তার মায়ের ইচ্ছেতেই ক্রায়ো-প্রিজারভেশনের জন্য মেয়েটি দেহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আমেরিকায়৷ এই প্রক্রিয়ায় দেহকোষ নষ্ট হয় না৷ কম তাপমাত্রায় উৎসেচকের কার্যক্ষমতা লোপ পায়৷ বৈধ মৃত্যু ছাড়া কোনও মৃতদেহ সংরক্ষণ করা যায় না৷ একমাত্র আমেরিকায় সম্পূর্ণ মৃতদেহ সংরক্ষণের প্রক্রিয়া চালু রয়েছে৷

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement