সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খলিস্তানি ইস্যুতে বিদ্ধ হয়ে আছে ভারত-কানাডা সম্পর্ক। এর মাঝেই সেদেশের নির্বাচনে নাক গলানোর অভিযোগ তোলা হয়েছে নয়াদিল্লির বিরুদ্ধে। যা নিয়ে সংঘাত আরও বেড়েছে। কিন্তু এই টালমাটাল পরিস্থিতিতেও লোকসভা নির্বাচনে জয়লাভের জন্য নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। শুভেচ্ছাবার্তায় তিনি বলেন, “মানবাধিকার, বিবিধতা ও আইনের শাসন মেনে দুদেশের সম্পর্ক এগিয়ে যাবে।” বিশ্লেষকদের মতে, অভিনন্দন জানিয়েও মোদি সরকারকে খোঁচা দিয়ে দিলেন ট্রুডো।
চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে ভারতের উপর নজর রেখেছিল বিভিন্ন দেশ। ৪ জুন ভোটের ফলাফল ঘোষণা হতেই এই নির্বাচন ও মোদি সরকারকে নিয়ে নানা কাঁটাছেঁড়া করেছে বিদেশি সংবাদমাধ্যমগুলো। এর মাঝেই নমোকে শুভেচ্ছা জানান বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতারা। এই তালিকায় যুক্ত হয়েছেন ট্রুডোও। বৃহস্পতিবার সকালে এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “নির্বাচনে জয়লাভের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অনেক অভিনন্দন।’ আগামিদিনে একসঙ্গে কাজ করতে চাইলেও এদিন দিল্লিকে কিছুটা বিঁধে ট্রুডো বলেন, “মানবাধিকার, বিবিধতা, আইনের শাসন বজায় রেখেই দেশের মানুষের মধ্যে সম্পর্ক উন্নত হবে।”
“Congratulations to Indian Prime Minister Narendra Modi on his electoral victory. Canada stands ready to work with his government to advance the relationship between our nations’ peoples—anchored to human rights, diversity, and the rule of law.” – Prime Minister Justin Trudeau
— CanadianPM (@CanadianPM) June 5, 2024
উল্লেখ্য, খলিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর খুনের মামলায় এখনও পর্যন্ত কানাডায় গ্রেপ্তার হয়েছে চার ভারতীয় নাগরিক। যা নিয়ে শিখদের একটি অনুষ্ঠানে ট্রুডো বলেছিলেন, “কানাডায় আইনের শাসন রয়েছে। স্বাধীন ও শক্তিশালী বিচার বিভাগ রয়েছে। দেশের প্রত্যেক নাগরিককে রক্ষা করাই এই ব্যবস্থার মূল উদ্দেশ্য। পুলিশ জানিয়েছে এই ঘটনার তদন্ত এখনও চলছে।” বিশ্লেষকদের মতে, নিজের দেশের আইনের শাসন মনে করিয়ে দিয়েই এদিন মোদিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী।
নিজ্জর খুনের পর থেকেই ফাটল চওড়া হয়েছে ভারত-কানাডা সম্পর্কের। গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে ভারতের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। নিজ্জর খুনে অভিযোগ তুলেছিলেন দিল্লির দিকে। তার পর থেকে দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। দুই দেশ থেকেই অপর দেশের শীর্ষ কূটনীতিকদের বহিষ্কার করা হয়। এর পর ভারত থেকে ৪০ জন কূটনীতিককে দেশে ফিরিয়ে নেয় কানাডা। ট্রুডোকে সরকারকে পালটা দিয়ে ভারত বারবার অভিযোগ করে এসেছে কানাডা সন্ত্রাসবাদীদের চারণভূমি হয়ে উঠেছে। কানাডার প্রশয়েই খলিস্তানিরা নির্বিঘ্নে জীবনযাপন করছে। ভারতবিরোধী কার্যকলাপ চালাচ্ছে। ফলে আরেকবার মোদি সরকার ক্ষমতায় আসায় আগামিদিনে দুদেশের সম্পর্ক কোনদিকে এগবে সেদিকেই নজর রয়েছে কূটনৈতিক মহলের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.