সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কানাডায় (Canada)ছুরি চালিয়ে ১০ জনকে হত্যা করা দুই আততায়ীর মধ্যে একজনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করল পুলিশ। এখনও অধরা অপরজন। সে আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠছে, এই আশঙ্কায় সীমান্ত এলাকাগুলিতে জোরদার করা হয়েছে সুরক্ষা। আরেক আততায়ীদের নাগালে পেতে পুলিশ চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে। জানা গিয়েছে, রবিবারের ঘটনার পর সোমবার ড্যামিয়েন স্যান্ডারসন (Damien Sanderson)নামে এক আততায়ীর দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন। তবে কীভাবে মৃত্যু হল তার, সে বিষয়ে এখনও অন্ধকারে কানাডার পুলিশ।
ড্যামিয়েন ও মাইলস স্যান্ডারসন। দুই ভাই রবিবার স্যাসকাচুয়ান ও জেমস স্মিথ ক্রি নেশনে ছুরি দিয়ে ১০ জনকে খুন করার পর গাড়ি নিয়ে চম্পট দিয়েছিল। ঘটনায় আহত হন ১৮ জন। কানাডার সাম্প্রতিক অতীতে এমন ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটেনি। স্বভাবতই জোড়া ছুরি হামলায় এতজনের মৃত্যু নড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসনকে। প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau) নিজে এই ঘটনাকে ‘হৃদয়বিদারক’ বলে তীব্র নিন্দা করেছেন। জানিয়েছেন, সে দেশে কোনওরকম হিংসার কোনও জায়গা নেই।
দুই আততায়ীর খোঁজ শুরুর পর ঘটনার তদন্ত শুরু করে কানাডার রয়্যাল পুলিশ। অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার রোন্ডা ব্ল্যাকমোরের উপরই এর দায়িত্ব। তিনি জানিয়েছেন, আততায়ী ড্যামিয়েনকে ঘন জঙ্গলের মধ্যে পাওয়া গিয়েছে মৃত অবস্থায়। সারা শরীরে আঘাতে চিহ্ন ছিল। তবে আত্মহত্যা বলে মনে করছে না পুলিশ। অর্থাৎ নিজেই নিজেকে ছুরির আঘাতে শেষ করেছে, এমনটা নয়। তবে কীভাবে মৃত্যু হল ড্যামিয়েনের? তা এখনও অজানা। তার দেহ ময়নাতদন্তের পরই বোঝা সম্ভব বলে পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে। কমিশনার রোন্ডা আরও জানিয়েছেন, ড্যামিয়েন-মাইলস, এই দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে আগেও অপরাধমূলক কাজের রেকর্ড রয়েছে। বিশেষত মাইলসের বিরুদ্ধে সেই রেকর্ড দীর্ঘ। তারা গ্রেপ্তার হয়নি। আর সেটাই এত বড় বিপদের কারণ হল বলে মনে করছে পুলিশ। যদিও এই হামলার নেপথ্যে দুই ভাইয়ের মোটিভ কী, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে।
পুলিশের অনুমান, পালানোর পথেই ড্যামিয়েন ও মাইলস আহত হয়েছে কোনওভাবে। তাতে ড্যামিয়েনের মৃত্যু হয়েছে। হয়ত আহত মাইলসও। সে আত্মগোপন করে রয়েছে কোথাও। চিকিৎসার জন্য বাইরে আসতে পারে। তখনই তাকে হাতেনাতে গ্রেপ্তারের পরিকল্পনা করেছে পুলিশ। এর জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছেও সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন রোন্ডা ব্ল্যাকমোর। তিনি বলেন, ”নিজেদের সুরক্ষিত রাখার জন্য এদের সম্পর্কে যে যা তথ্য পাচ্ছেন, পুলিশকে জানান। এরা বিপজ্জনক।” প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, রেজিনা শহরে তাদের শেষ দেখা গিয়েছিল জীবন্ত অবস্থায়। তবে ‘আহত বাঘ আরও ভয়ংকর’ – এই প্রবাদ মনে করে জনতা আতঙ্কে কাঁটা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.